সদ্যই বিগ বস সিজন ১৪-র মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন কুমার শানু ও তাঁর প্রথম স্ত্রীর কনিষ্ঠ সন্তান জান। বিগ বসের চলতি সিজনে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন জান। তাঁর পারিবারিক বিবাদ, নেপোটিজম বিতর্ক, মরাঠা বিরোধী মন্তব্য নিয়ে তৈরি বিতর্ক, এবং নিকি তম্বোলির সঙ্গে জানের ঘনিষ্ঠা- সবকিছুই থেকেছে সংবাদ শিরোনামে। তবে জান বিগ বসের ঘরে থাকালানীন ছেলেকে নিয়ে ঠান্ডা লড়াইয়ে জড়িয়ে ছিলেন কুমার শানু ও রীতা ভট্টাচার্যও। মরাঠি ভাষা সংক্রান্ত জানের 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর মায়ের দেওয়া শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুমার শানু। ঘরের বাইরে এসে সব কথা জেনে বেজায় ক্ষোভ উগরে দেন জান। পালটা অপর এক সাক্ষাত্কারে নিজের নাম থেকে কুমার শানু সরিয়ে ফেলবার পরামর্শ ছেলেকে দিয়ে বসলেন বর্ষীয়ান গায়ক।
এবার টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কুমার শানু বলেন- 'আমি শুনলাম ও সাক্ষাত্কারে বলছে, বিগ বসের ঘরেও বলেছে যে ওর মা ওর জন্য কী করেছে। আজীবন মা, বাবা-মা দুজনের ভূমিকিয়া পালন করেছে।মায়ের প্রতি ওঁর এই শ্রদ্ধাকে আমি সম্মান জানাই। আমার মনে হয় মায়ের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল হলে ওর উচিত জান কুমার শানুর বদলে জান রীতা ভট্টাচার্য লেখা উচিত। রীতিজি সত্যি ওর জন্য অনেক কিছু করেছেন। এবং তা ছাড়া আমার নাম যুক্ত থাকলে মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই ওর সঙ্গে আমার তুলনা টানবে, যা নবাগতর পক্ষে একদম উপযুক্ত নয়।
মুম্বইতে থাকলে প্রথমপক্ষের তিন সন্তানের সঙ্গে দেখা করবার চেষ্টা করেন বলে দাবি করেন কুমার শানু। তিনি বলেন বিগ বসের ঘরে যাওয়ার আগেও তিনি জানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কোনওদিনই জানকে সুযোগ করে দেননি কুমার শানু, ছেলের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গায়কের দাবি- ‘জানের কথা মেনে আমি মুকেশ ভাটজি, রমেশ তোরানিজি সহ আরও বেশ কয়েকজনকে ফোন করেছিলাম। দেখা করবার কথা বলেছিলাম। তবে কেউ কাজ দেবে কিনা সেটা একান্তাই তাঁদের উপর নির্ভর করছে। জান যখন আমার বেশ কিছু কনসার্টের অংশ হতে চেয়েছে, তখনও আমি সুযোগ দিয়েছি’।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জান বলেন- ‘বাবা কোনওদিনই আমার জীবনের অংশ ছিল না, উনি কোনওদিন আমাকে সাপোর্ট বা প্রমোট করেননি গায়ক হিসাবে। কেন? এই প্রশ্নটা ওঁনাকেই করা ভালো।ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা দুু-বার বিয়ে করেছেন। নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে সুখে সংসার করছেন, হয়ত প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক নেই। তবে কেউ প্রথমপক্ষের সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে-দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেনি।তবে আমাদের ক্ষেত্রে পুরো উলটো। কুমার শানু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। প্রথমে উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো আপলোড করে আমার শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, তারপর আরও একটা ভিডিয়োতে আমার কাজের সমর্থন করলেন। তাই আমার মনে হয় আমার প্রতি ওঁনার অনুভূতিটা একটু জটিল’।
উল্লেখ্য কুমার শানুর প্রথম স্ত্রী রীতার সঙ্গে ১৯৯৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় গায়কের। তাঁদের তিন পুত্র- জেসি, জিকো এবং জান। এরপর সলাোনির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন কুমার শানু। তাঁদের দুই কন্যা শ্যানন কে এবং অ্যানা। জানের জন্মের আগেই ডিভোর্স হয়ে যায় রীতা ও কুমার শানুর। জন্ম থেকেই বাবার সান্নিধ্য পায়নি জান।