অভিনয় তাঁর প্রথম ভালোবাসা, কিন্তু করোনার মতো সংকটজনক পরিস্থিতিতে নিষ্ঠার সঙ্গে চিকিত্সক হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন অভিনেতা আশিষ গোঘলে। বছর পাঁচেক অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন এই চিকিত্সক, কিন্তু এই জরুরি পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসাপাতলে করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করছেন আশিষ। সোনি টেলিভিশনের ‘তারা ফর্ম সাতারা’ ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাঁকে। সিরিয়ালে বরুণ মানের, অর্থাত্ তারার(রসনি ওয়ালিয়া) কাকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অক্ষয় কুমারে গব্বর ইজ ব্যাক, মরাঠি ছবি ‘মোগরা ফুলালা’-তে অভিনয় করেছেন আশিষ গোঘলে।
২০১৫ সালে জি টিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক কুমকুম ভাগ্য’র সঙ্গে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আশিষ। সেই সময় জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাক্টিস করতেন আশিষ গোঘলে। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, এখন আমি শুরু ডাক্তার আশিষ গোঘলের চরিত্র পালন করছি আর কি! আর এই রোলেই আমাকে জীবনের সেরা শটটা দিতে হবে, পরিস্থিতি সেটাই দাবি করছে। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে মেডিক্যাল নিয়ে যে পড়াশোনা করেছি, এবং তারপর লম্বা একটা সময় প্র্যাক্টিসও করেছি। ভূমিকাটা নতুন নয়, আমি মানুষকে বাঁচাতে ২৪x৭ ঘন্টা ডিউটি করছি। এটা আমার ধর্ম। করোনাভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলায় আমি যত বেশি সম্ভব মানুষকে সাহায্য করতে চাই’।
১৪ মার্চ শেষবার শ্যুটিং করছেন আশিষ।স্বাভাবিক ভাবেই ‘রোল ক্যামেরা অ্যান্ড অ্যাকশন’ মিস করছেন, তবে এখন দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনাভাইরাস, তা ভালোভাবেই জানেন আশিষ। দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ছুঁইছুঁই, মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। আর দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। তাই লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত করোনা চিকিত্সায় যুক্ত ৯০ জন চিকিত্সকও এই মহামারীর গ্রাসে।
.