আরজি কর নিয়ে প্রতিদের ঝড় উঠেছে বাংলায়। ১ মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলনে সামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। ঘটনার দায় উঠছে প্রশাসনের দিকে। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে তৃণমূল নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিক্ষোভ। এদিকে, উলটোদিকে রাজ্যের শাসকদল রাম-বামদের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত।
কুণাল ঘোষ একটি পোস্ট শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে তিনি টলিউডের অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য-র একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই কুণাল ঘোষ, আর এই যে ছেলেটা, আমি নামও ভুলে যাই, হ্যাঁ দেবাংশু। যেদিন পাবলিকের হাতে পড়বে, দেখব কী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাঁচাতে আসবে না। বাড়িতে বসে বসে প্রেসকে লেকচার দেয়। একদিন না একদিন পাবলিকের সামনে আসতেই হবে। একদিন না একদিন, ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে। অসুস্থ তো সবাই হয়। সেই দিনটা খুব ভয়ানক ওদের কাছে।’
এই ভিডিয়োটি কুণাল এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক দু জায়গাতেই শেয়ার করেন। লেখেন, ‘হ্যাঁরে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব? তোর সঙ্গে বেশ মানাবে। রাগের মধ্যেই থাকে অনুরাগের বীজ। তাছাড়া, কেমন সংস্কার মানে, স্বামীর নাম মুখে আনতে চায় না। আমার তো নিজেকে এখনই ভাসুর ভাসুর লাগছে।’
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ এবার ইন্ডিয়াজ বেস্ট ডান্সারের মঞ্চে, মন্ত্রমুগ্ধ বিচারকার
দেবাংশুও ফেসবুক ও এক্স, দু জায়গাতেই উত্তর করেছেন। শুধু উত্তরের ধরণটা বদলেছে। এক্সে লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়া তৃণমূল নেতা দেবাংশু লিখেছেন, ‘গলা শুনেই মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল মহিলা গো! বিনয় কোঙ্গারের মত "লাইফ হেল" করে দেবে…’
আরও পড়ুন: রাতে হঠাৎ কম পড়ে ২০০ জনের খাবার, তারপর কী হল ডাক্তার আন্দোলনে, জানালেন অগ্নি
আর অন্য দিকে ফেসবুকে তাঁর জবাব, ‘বলছ তাহলে Kunal দা? তুমি খুঁজে দিচ্ছ মানে এত সহজে কি না বলতে পারি! কিন্তু গলা শুনে মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল.. টিকবে কি? বিনয় কোঙারের মতো "লাইফ হেল" করে দেবে তো! এ বাবা! এমা.. দাঁড়াও দাঁড়াও… বিবাহিত তো! সরি… সিরিয়ালে কাজ নেই। ডাক্তারদের আন্দোলনে বিরিয়ানি খেতে গেছে। আমাদের নাম নিয়ে একটু ফুটেজও খাক।’
আরও পড়ুন: বিয়ের আংটি খোলা, মেয়ে নিয়ে বচ্চন বধূ ছেড়েছেন দেশ! কোথায় দেখা গেল ঐশ্বর্য-অভিষেক
এক্সে এই পোস্টে কিছু নেট-নাগরিক (পড়ুন তৃণমূল-পন্থীরা) মন্তব্য করলেন, ‘এত এত আন্দোলন দেখেছি কিন্তু হেসে হেসে সেলফি পোস্ট,বিরিয়ানি খেতে খেতে ছবি,নেচে নেচে স্লোগান,ছেলের কাঁধে উঠে মেয়ের স্লোগান এগুলো কোনদিন দেখিনি! এত নোংরা আন্দোলনের চেহারা এই প্রথম দেখলাম!’ আরেকজন লিখলেন, ‘একে আমাদের বালির বৌমা করলে বালির লোকের জীবন আরো নষ্ট। একেই একটা দাদুর নাতনি (দীপ্সিতা) আছে আমাদের জ্বালানোর জন্য। আর কাউকে চাই না রে ভাই।’