সদ্যই মুক্তি পেয়েছে রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান। আর সেই ছবি মুক্তি পেতে না পেতেই সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর আগামী ছবি লহ গৌরাঙ্গের নাম রে ছবিতে কে বিনোদিনী হবেন সেটা প্রকাশ্যে এনেছেন। জানা গিয়েছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় সেই চরিত্রে ধরা দেবেন। এবার এই বিষয়ে সরব হলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: 'গানটা না থাকলে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য কতটা উঁচু হতো বলতে পারছি না', হঠাৎ কেন এমন বললেন অঞ্জন দত্ত?
আরও পড়ুন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জগদ্ধাত্রী-কোন গোপনের! এই সপ্তাহে সবাইকে ছাপিয়ে TRP টপার হল পরিণীতা নাকি ফুলকি?
কী লিখলেন কুণাল ঘোষ?
এদিন কুণাল ঘোষ তাঁর ফেসবুকের পোস্টে লেখেন, 'বিনোদিনী। এটা টলিউডে হচ্ছেটা কী? সাধারণ দলীয় রাজনীতি দেখে নাক সিঁটকানোর ভাব করেন বহু শিল্পী। তাঁরা অনেকে বিবেকের ভূমিকায় জ্ঞান দেন। এখন টলিউডের অভ্যন্তরে যা কুৎসিত রাজনীতি দেখছি, হয়তো আগেও ছিল, এঁরা যেন আর সমাজের বিবেক সাজতে না যান।'
সেই পোস্টে উঠে আসে বহুরূপী বনাম টেক্কার প্রসঙ্গও। কুণাল ঘোষ সেই প্রসঙ্গে লেখেন, 'বহুরূপী বনাম দেব ভক্তদের লড়াই রুচির সীমা পার করেছিল। এবার রুক্মিনীর বিনোদিনীকে ঠেকাতে নেমেছে আরেকটি মহল। চোখে লাগছে এই নোংরামি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগঠিত বিরূপ পোস্ট, মিডিয়াকে প্রভাবিত করে রুক্মিনীর প্রচার বন্ধের চেষ্টা, এমনকি এই সময়ই পাল্টা বিনোদিনী ঘোষণা, তাও আবার শুভশ্রীকে সামনে রেখে, এগুলো এই সময়ে সুস্থ কাজ নয়। রুক্মিনী বিনোদিনী করেছে। পরিচালক রামকমল। ছবিটি দেখেছি। বেশ ভালো করেছে। বিনোদিনী হিসেবে রুক্মিনী যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। চৈতন্যলীলা পর্বে মুগ্ধ করেছে। এ কোন রুক্মিনী? অথচ কী কুৎসিত অপপ্রচার, ট্রোলিং। এক উপেক্ষিত বঞ্চিত অভিনেত্রীর বায়োপিক, সেটাকে টানছেন আর এক অভিনেত্রী, টলিউডে শেষ কবে নায়িকার কাঁধের উপর ভর করে ছবি করা হয়েছে, তাও আবার এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে। আমি সিনেমা বিশেষজ্ঞ নই, তবে দর্শক, বিনয় না করে বলছি, অনেকের থেকে ভালো বুঝি। আজকের সময়ে নায়িকাভিত্তিক ছবির ঝুঁকিই দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ নিতে চান না, সেখানে রামকমল, রুক্মিনী কাজটা করেছেন, ভালো করেছেন। বাংলা ছবির দর্শকের দেখা উচিত। রুক্মিনীর পুরস্কার পাওয়া উচিত। বাণিজ্যিকভাবে কতটা কদিন চলবে, সেটা বলা কঠিন, আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় থাকে। তবে ভালো ছবিকে ভালো বলব, দেখতে বলব, বিশেষত নটী বিনোদিনীকে নিয়ে কাজটা হওয়ায় বাড়তি আবেগ নিয়ে উৎসাহ দেব, এ তো স্বাভাবিক।' তিনি এদিন আরও লেখেন, 'কিন্তু এসব কী হচ্ছে? রুক্মিনীকে এই আক্রমণ? এঁরা অনেকে বিবেক সেজে বিবৃতি দেন? রুক্মিনী দেবের বান্ধবী হতে পারে, কিন্তু পর্দায় বিনোদিনীর অভিনয়টা তাকেই করতে হয়েছে। অপূর্ব করেছে। তাতে অনেকের গা জ্বলছে কেন?'
প্ল্যান করেই সৃজিতের ছবির বিনোদিনীর কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান কুণাল। লেখেন, 'এরই মধ্যে দেখলাম সৃজিত তাঁর গৌরাঙ্গ আবার সামনে এনেছেন, চার বছর নীরবতার পর। এখানে নাকি শুভশ্রী বিনোদিনী। এখনই মিডিয়ায় খবর ছাড়া হল। বড় বড় নাম এই প্রোডাকশনে। সৃজিত, শুভশ্রী দুজনেই কৃতী। কিন্তু বর্তমান বনাম প্রাক্তন ধরণের ছায়ার খেলায় প্রচারের বিষবাণ নীরবে ছড়িয়ে দেওয়া কি জরুরি ছিল? এক চরিত্র নিয়ে একাধিক কাজ স্বাভাবিক, তবে এক্ষেত্রে প্রেক্ষিত স্বাভাবিক নয়।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রুক্মিণী মৈত্র এবং দেব দুজনের সম্পর্কই বেশ ভালো। এমনকি সৃজিতের পুজোর ছবি টেক্কাতে তাঁরা দুজনই ছিলেন মুখ্য অভিনেতা। তবে এর আগে ব্যোমকেশ নিয়ে দুজনের গোল বেঁধেছিল। কিন্তু সেটা মিটেও যায়। বিনোদিনী নিয়েও কি তবে তেমন কিছু ঘটল আবার? উত্তর সময়ই দেবে।