আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল বাংলা। কেউ পথে নেমেছেন, কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিচ্ছেন, জন্য সাধারণকে সচেতন করছেন। আর এই দুইয়েই প্রথম থেকে থেকেছেন ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন উৎসবে ফিরবেন না। কিন্তু বিজয়ার দিন সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়লেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে রীতিমত তুলোধোনা করলেন কুণাল ঘোষ।
কী পোস্ট করেছেন ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
এদিন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে তাঁকে সাদা বেগুনি রঙের জামদানি পঞ্জাবি পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বুকে হাত রেখে পোজ দিয়ে ঘরেই ছবি তুলেছেন তিনি। এই ছবিটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'সারাদিন কাজের দেশে বাড়িতে পৌঁছে একটাই প্রার্থনা করি সবাই যেন সুস্থ থাকেন। বিবেক জাগ্রত হোক।'
তাঁর এই পোস্টটি শেয়ার করেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। রান্নাঘর খ্যাত সঞ্চালিকা তাঁর পোস্টে জানান উক্ত ডাক্তার এই পঞ্জাবিটি তাঁর বুটিক থেকেই কিনেছেন। এটি তাঁদের বুটিকের এক্সক্লুসিভ বলেও জানান সুদীপা। সেই পোস্টের স্ক্রিনশট এদিন এক্সে পোস্ট করে নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন।
কী লিখলেন কুণাল ঘোষ?
কুণাল ঘোষ এদিন বিদ্রুপের স্বরে লেখেন, 'এদের গ্যাস খেয়ে ওদিকে ওরা অনশনে। এদিকে বিবেকের কোটিং মেরে পোজ দিয়ে ফ্যাশন প্যারেড চলছে। যদি অনশনরতদের প্রতি সত্যি দরদ থাকে, কোনো মানুষ এই পোস্ট করতে পারে না।'
আরও পড়ুন: উৎসবে নেই, বিয়ের পর প্রথম দশমীতে সিঁদুর খেললেন সোহিনী! শোভনের সঙ্গে ঘরোয়া আড্ডায় গাইলেন গানও
অনেকেই কুণালের এই পোস্টে তাঁকে সমর্থন করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'এটা এক প্রকার সিগারেট খেতে খেতে অন্যকে জ্ঞান দেওয়া যে সিগারেট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। ঠিক সেই রকম যার মধ্যে বিবেকের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই সে বিবেকের কথা বলে।' আরেকজন লেখেন, 'আমার তেমন কিছু বলার নেই শুধু মনে হচ্ছে, এত সহানুভূতিশীল সাজা সাধারণের অসাধারণ জনগণ ও গণ ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে জানানো ডাক্তাররা গণ অনশনে বসুন না , তাতে তো প্রধান বিচারপতির বিচারের সুবিধা হয় সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ে। আর যদি সুপ্রিম কোর্টের বাইরে করেন তো খুব ভালো হয়।' কেউ কেউ আবার বিরোধিতা করেন। একজন লেখেন, 'আর আপনাদের সরকার? Carnival করছে? চালিয়ে যান। ২০২৬ এর মধ্যেই পশ্চাতদেশ বাঁচানোর একটা হেলমেট জোগাড় করে রেখে দেবেন প্লিজ। কারণ তারপরে ওটার যে কি হাল হবে, ব্রহ্মা জানেন স্বয়ং। শুভানুধ্যায়ী হিসেবেই উপদেশটা দিয়ে গেলাম।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'না পেরে পার্সোনাল অ্যাটাক হচ্ছে , তাই তো ?' তৃতীয়জন লেখেন, 'ঠিক যেরকম জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আর ন্যায্য দাবির প্রতি নুন্যতম সমর্থন থাকলে 'কার্নিভাল' নামক আদিখ্যেতাটা মূখ্যমন্ত্রী করতে পারতেন না। মেনে নেওয়া যাক দূর্গাপূজা সামাজিক আর ধর্মীয় অনুষ্ঠান। কিন্তু কার্নিভাল, ওটা তো জনগণের টাকায় মোচ্ছব। এবারের জন্য অন্ততঃ বন্ধ রাখা গেল না?'