গত ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ৩০ তম বছরে পা দিল। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং কিঞ্জল নন্দ। সম্বর্ধনা দেওয়া হয় সেখানে তাঁদের। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই তাঁদের রীতিমত আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েই ইতিহাস পুষ্পা ২-র! জওয়ান-অ্যানিম্যালকে পিছনে ফেলে কোন রেকর্ড গড়ল আল্লু অর্জুনের ছবি?
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এখনও দুর্বল, ভর্তি হাসপাতালেই! তবে রাঙামতি তীরন্দাজ থেকে সরে যাচ্ছেন মধুরিমা?
কী ঘটেছে?
আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতা বিচার না পাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন দুর্গাপুজো কাছাকাছি এসে যাওয়ায়। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। উৎসবে না ফেরার ডাক দিয়েছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, কিঞ্জল নন্দরা। কিন্তু এদিন তাঁরাই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে তাঁদের কটাক্ষ শানালেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ এদিন সুদীপ্তা এবং কিঞ্জলের কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘দুর্গোৎসব খারাপ। ফিল্মোৎসব ভালো। দ্রোহের দ্বিচারিতা। নন্দন চত্বরে, শুক্রবার। কিঞ্জল, সুদীপ্তা। কোনও ব্যক্তি আক্রমণ নয়। কৌতূহল। উৎসব? বিচার? এসব লেখার পর নিজেদের স্বার্থে চলচ্চিত্র উৎসবে যেতে সমস্যা নেই? তাহলে দুর্গোৎসবের সময় সবরকম নেতিবাচকতা ছিল কেন?’
তিনি এদিন একই সঙ্গে খোঁচা দেন যে কুলতলি ধর্ষণ কাণ্ডের সাজা ঘোষণা হলেও আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই ডাকা হলেও সেই কেসের সুরাহা হয়নি। এই বিষয়ে তিনি লেখেন, 'ও! বাই দি ওয়ে, কুলতলির ধর্ষণ, খুনে বাষট্টি দিনের মাথায় আজ ফাঁসির শাস্তি হল। অতিনাটক করে সিবিআই ডেকে এনে আর জি করের বিচার শেষ হল না। অভয়ার আবেগ নিয়ে কিছু লোক ছেলেখেলা করে নিজেদের স্বার্থে কাজ চালালো। আজ ক্রমশ তা সামনে আসছে। কিঞ্জল, বিচার পেয়ে গেছে অভয়া? উত্তর না হলে, এখনও তোমাদের মিছিল চললে, তুমি চলচ্চিত্র উৎসবে কেন?'
অনেকেই এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার প্রয়োজন আছে আপনার। আপনার বাড়িতে চুরি হয়েছে, আপনি সেই চোরকে খুঁজে বের করেছেন। সেটাই তো স্বাভাবিক। স্বাভাবিকত্বের উল্লাস যারা করে তারা মানসিকভাবে বিকৃত। আর জেনে রাখুন, আরজিকরের আন্দোলন না হলে এই বিচারও হারিয়ে যেত প্রশাসনিক দুরব্যবস্থার অন্ধকারে।’ আরেকজন লেখেন, 'ন্যায় বিচারটা বাড়ি থেকে শুরু করলে গুরত্ব দেওয়া যেত। কিছু লোক অগস্ট থেকেই বুঝে গিয়েছিলেন এখন তো সারা পৃথিবী বোঝে। গুরত্বহীন লোক গুরত্বহীনই থাক এটাই সঠিক মর্যাদা।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এই সব লোকেরাই আসলে সমাজটাকে বিষাক্ত করছে, সার্থ চরিতার্থ ও গণ মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়ার জন্য।'