এতদিন সকলেই জানত বড়দিন মানে নাহৌমসের কেক, বো ব্যারাকে ঘুরুঘুরু আর বাকি ভিড় পার্ক স্ট্রিটে। আলোর শামিয়ানার নিচ দিয়ে হাঁটাহাঁটি, ভুরিভোজ আর অ্যালেন পার্কের প্রদর্শনী দেখা। কিন্তু এবার যেন পার্ক স্ট্রিটের সাজসজ্জা এবং ভিড়কে বলে বলে দশ গোল দিল পাটুলি! আর এদিন সেই ছবিই প্রকাশ্যে এল।
পাটুলিতে বড়দিনের উদযাপন
এদিন লা কলকাতা নামক একটি পেজের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সেখানেই দেখা যাচ্ছে রাস্তার দুই পাশে আলোর মেলা। দারুণ ভাবে সাজানো পথঘাট। আর তার মাঝখানে দিয়ে হেঁটে চলেছেন বহু মানুষ। ভিড় একেবারে উপচে পড়ছে। এক ঝলক দেখে মনে হবে বুঝি কোন খ্যাতনামা দুর্গাপুজো মণ্ডপের অষ্টমীর ভিড়!
ভিড়ের ঠ্যালায় রাস্তায় কোথাও জুতো পড়ে, কোথাও সান্টা টুপি। ভিড়ে যে প্রবল ধাক্কাধাক্কি চলেছে সেটা ভিডিয়ো দেখেই আন্দাজ করা যায়।
কুণাল ঘোষ কী লিখলেন?
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাটুলির এই বড়দিন উদযাপনের বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। তিনি একাধিক ছবি তাঁর এক্স হ্যান্ডেল অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে পোস্ট করে লেখেন, 'বড়দিনের উৎসব পাটুলিতে। হইহই কান্ড। যেন পার্ক স্ট্রিটকে টেক্কা দেওয়া আয়োজন ও অংশগ্রহণ। পুরপিতা বাপ্পাদিত্যর উদ্যোগে।' এদিনের এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন সায়নী ঘোষ, নচিকেতা, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, প্রমুখ
কে কী বলছেন?
এই ছবি ভিডিয়ো দেখে তাজ্জব নেটপাড়া। এক ব্যক্তি মজা করে লেখেন, 'এবার অ্যালেন পার্ক সর্বজনীনকে দশ গোল দিয়ে এগিয়ে গেল পাটুলি বারোয়ারী।' কেউ আবার লেখেন, 'তাই ভাবি কাল পার্ক স্ট্রিট এত ফাঁকা ছিল কেন?' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'পাটুলিতে কী দেখতে গেছে এমন?' চতুর্থ জন লেখেন, 'এরা যাচ্ছে কোথায়? কেনই বা যাচ্ছে? চার্চ নেই কিছু নেই এভাবে পাগলের মতো হাঁটছে কেন?'
এক ব্যক্তি কুণাল ঘোষের পোস্টে লেখেন, 'হিন্দু চুলোয় যাক, সংখ্যালঘু ভোট যেন হাতছাড়া না হয়, বলি এদের তো হিন্দুদের থেকে কোন ভয় আছে বলে মনে হয় না কিন্তু এদের থেকে হিন্দুদের যে ভবিষ্যতে কি হবে সেটাই ভাববার বিষয়।' আরেকজন লেখেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্য? ওটা পার্টির উৎসব ছিল না জনগণের? আমার দুর্ভাগ্য ওই সময় উপস্থিত ছিলাম। হেড়ে গলায় আপনার গান। যিনি আপনাকে গান গাইতে বলেছিলেন তাকে কি আগে থেকে বলে দিয়েছিলেন যে আপনাকে গান গাওয়ার অনুরোধ করতে?' তৃতীয়জন লেখেন, 'সারাবছর খালি হই হই।'