সংবাদিক থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছেন বহু আগেই। এবার গায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন কুণাল ঘোষ। পাশে নচিকেতা চক্রবর্তীকে নিয়েই গান গাইলেন কুণাল।
মঞ্চে উঠে কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা গেল, ‘এটা একটা মজাদার সৌভাগ্য নচিদার সঙ্গে, একটা অনুষ্ঠানে নচিদা বের হচ্ছে, আমি ঢুকছি। তো আমাকে দু’একজন বললেন দু'কলি…। আমি বললাম, আমার তো ঝগড়ার করা গলা। (শুনে পাশে তখন হা হা করে হাসলেন নচিকেতা) তো এখানে দু'কলি গাইলাম। তবে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, সেই এক্সপিরিমেন্টটা নচিদার মতো এতবড় একজন উচ্চতার গায়কের ভালো লেগেছে…। ফলে সেটা মাঝে মাঝে আমাদের দেখা হলে বলি।'
এরপর কুণাল ঘোষের থেকে কথা কেড়ে মাইক্রোফোন হাতে নচিকেতা চক্রবর্তী বললেন, ‘আমাদের যখনই দেখা হয়, তখন আমারা এই ডুয়েটটা গাই।’ কথা বলতে বলতেই চেয়ারে বসলেন নচিকেতা, কুণাল ঘোষকেও বসতে বললেন। তারপরই গান ধরলেন তাঁরা। নচিকেতা কুণাল ঘোষের দিকে ইঙ্গি করে বললেন, ‘শুরু করো…’। আর তখনই গান ধরলেন কুণাল, ‘রিম ঝিমঝিম, এই বরষাতে/ তাকে বলো কী ভরসাতে! তুমি কি গো আজ আসবে না? ঝড়-বাদল ভরা এরাতে!’ এরপরই নচিকেতা মুখে মুখে মিউজিক দেওয়ার পর কুণাল ফের গাইলেন এই গানেরই হিন্দি ভার্সানটি। ‘হাসিনো নে বুলায়া, গলি সে ভি লাগায়া…’। এরপর তাঁর সঙ্গে গানটা ধরে নিলেন নচিকেতা চক্রবর্তীও। বেশকিচুক্ষণ চলল কুণাল-নচিকেতা ডুয়েট।
গান শেষে দর্শকদের বাহবা পেয়ে ‘থ্যাং ইউ’ বলেই নচিকেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন কুণাল ঘোষ।
শিয়ালদহতে আয়োজিত TBAAK কার্নিভালের এই মুহূর্তটি নিজেই X (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সঙ্গে মঞ্চে বলা নিজের কথাগুলিরই পুনরাবৃত্তি করে লিখেছেন, ‘আমি গায়ক নই। শ্রোতা। শখে মাঝেমধ্যে গাই। কিন্তুআমার সৌভাগ্য, আমার একটি ছোট এক্সপেরিমেন্ট নচিকেতার উচ্চতার একজন মহাগায়কের একটু ভালো লেগেছিল। তাই নচিদা সেটি গাইবার জন্য আমাকে ডেকে নেন। এটা পছন্দ ও স্নেহের মিশ্রণ। টাকী বয়েজের টিব্যাক কার্নিভালেও নচিদা ডাক দেওয়ায় আমি আপ্লুত। তার উপর বাড়তি পাওনা সঙ্গে নচিদার গেয়ে ওঠা।’