বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত খুব সুস্পষ্ট ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন লগ্নজিতা। এই তো কিছুদিন আগেও সহকর্মী উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়কে কেন ইগনোর করা হয়, কেন সেভাবে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বসন্ত এসে গেছে গায়িকা। এবার কলম ধরলেন বাংলাদেশ বিতর্ক নিয়ে।
আরও পড়ুন: পুরো 'মাম্মাস বয়'! মায়ের কোলে শুয়ে আদর খাচ্ছেন দেব, ছবি দিয়ে মৌসুমী অধিকারী কী লিখলেন?
বাংলাদেশ নিয়ে কী লিখলেন লগ্নজিতা?
এই কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিগত কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে আছে বাংলাদেশের BUET বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাল ছবিটি নিয়ে যেখানে দেখা যাচ্ছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ভারতীয় পতাকা রাখা। আর সবাই সেটা মাড়িয়ে যাচ্ছেন। দেশের এই অসম্মান, অবমাননা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। শ্রীজাত , সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কবীর সুমনদের পর এবার এই বিষয়ে সরব হলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী।
এদিন বসন্ত এসে গেছে গায়িকা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনও দিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। আমি বিশ্বাস করতাম, ভেবেছিলাম এই জিনিসগুলো অতীতে ঘটত।' তাঁর এই পোস্টের কথাকে একেবারেই সমর্থন করতে পারেননি নেটিজেনরা। আর সেই কারণেই বিদ্রুপ করা হল গায়িকাকে।
যদিও সেই কটাক্ষের জবাবও এদিন লগ্নজিতা দিয়েছেন। তিনি তাঁর সেই পোস্টে লেখেন, 'অনেকে বলছেন যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করছে না বা করে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন। আমি নাকি কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না। আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত। আমার আরও শিক্ষিত হওয়া জরুরি। ইত্যাদি, ইত্যাদি। সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু মুসলিম যে ভাই ভাই সেটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের থেকে শিখেছিলাম। ওঁরাও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাই।' আগের পোস্টের পর বিস্তর থ্রেট পেয়েছেন গায়িকা। সে বিষয়েও মন্তব্য করতে ছাড়েননি তিনি।
কে কী বলছেন?
গায়িকার প্রথম পোস্টে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন, এক ব্যক্তি লেখেন, 'দক্ষিণ কলকাতা ছেড়ে বেরোলে বাস্তবটা বোঝা যায়।' আরেকজন লেখেন, 'আমিও ভেবেছিলাম, বিরিয়ানিতে ঘি দিতে হয়, বা বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়, এসব সেকেলে ব্যাপার আমরা পেরিয়ে এসেছি। ভেবেছিলাম, এগুলো সব থিংস অফ দ্য পাস্ট! কোনওদিন ভাবিনি, ফেসবুক খুললেই বাবলাতলার বাপি বিরিয়ানিতে হাফ কিলো ঘি দিচ্ছে বা আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হচ্ছে দেখতে হবে।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'কোনওদিনই এটা ছেড়ে বেরোন হয়নি, আমাদের অনেকটা ওভারলুক করিয়ে রাখা হয়েছিল সেকুলারিজমের অজুহাতে কারণ প্রতি বছর ওপার থেকে এত এত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কেন চলে আসত আমরা কখনও ভেবে দেখেনি, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অনেকটা মনোনিবেশ করেছি একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে কিন্তু তার একপেশে সুযোগ নিয়ে যেটা ক্রমাগত হয়ে এসেছে আজ ২০২৪ সালে তা একটা চরম রূপ ধারণ করেছে আর এটাই বাস্তব আর সেকুলারিজম একটা মোড়কে মোড়া অনেকদিনের স্বপ্ন।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'নিজের দেশে নিজে সংখ্যাগুরুর কাতারে পড়লে বেশিরভাগ মানুষ এরকমটাই ভেবে থাকেন।'
আরও পড়ুন: টুকটুক করে ২৫ কোটির গণ্ডি টপকাল সবরমতী রিপোর্ট! তৃতীয় শনিবার বক্স অফিসে কত আয় করল বিক্রান্তের ছবি?
বাংলাদেশের এক নাগরিক লগ্নজিতার এই পোস্টে লেখেন, 'আমি বাংলাদেশ থেকে বলছি দিদি, এখানে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ, ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না এদের অত্যাচারে।'