২০ দিনের বেশি হয়ে গিয়েছে, কিন্তু লক্ষ্য সেন এখনও প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪-এর পুরুষদের ব্যাডমিন্টন ইভেন্টে পরাজয়ের কথা ভুলতে পারছেন না, তা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন৷ পিভি সিন্ধু, সাত্যিক সাইরাজ, রঙ্কি রেড্ডি, চিরাগ শেঠি এবং এইচএস প্রণয় সবাই বাদ পড়ার পর ব্যাডমিন্টনে ভারতের শেষ ভরসা ছিলেন লক্ষ্য, পদক জেতার দুটি সুযোগও এসেছিল তাঁর কাছে। সেমিফাইনালে ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের বিরুদ্ধে এবং তারপরে মালয়েশিয়ার লি জি জিয়ার বিরুদ্ধে ব্রোঞ্জ মেডেল জেতার। তবে, দুটি ম্যাচেই লক্ষ্য একটুর জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়েছেন, তাই খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। অলিম্পিকে কোনও পুরুষ শাটার ভারতের হয়ে কোনও পদক জিততে পারেনি, লক্ষ্য তা পারলেন না।
ফলাফলের জন্য লক্ষ্য এখনও হতাশায় ডুবে আছেন। অলিম্পিকে তাঁকে নিয়ে সকলেই খুব আশাবাদী ছিলেন, অলিম্পিক চলাকালীন তিনি অনবদ্য ফর্মে ছিলেন। ইনজুরির কারণে গুয়াতেমালার শাটলার প্রত্যাহার করার কারণে কেভিন কর্ডনের বিপক্ষে তিনি জয় পাওয়া পর প্রতিপক্ষ জুলিয়েন ক্যারাগি, জোনাটান ক্রিস্টি, প্রণয় এবং চৌ তিয়েন-চেনকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে পৌঁছে যান। কিন্তু অ্যাক্সেলসেনের বিপক্ষে, লক্ষ্য প্রথম দ্বৈরথে তিনটি গেম পয়েন্ট নষ্ট করে এবং তারপরে দ্বিতীয়টিতে ৭-পয়েন্টের লিড দেন। লী-র বিরুদ্ধে, লক্ষ্যের পরাজয় হয়েছিল, ১-০ আপ থেকে, ভারতের ব্যাডমিন্টন অভিযান হতাশাজনক ভাবে শেষ হয়েছিল, ১-২-এ থেমে গিয়েছিল পথ চলা।
লক্ষ্য হিউম্যানস অফ বোম্বকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'ম্যাচের পরে, আমি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ওই পরাজয়ের ভাবনা আমাকে ক্রমাগত আঘাত করে চলেছিল যে আমি এই অলিম্পিকে ভারতকে পদক এনে দিতে পারব না। আমি জানতাম যে আমি ম্যাচে ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি এবং আমি যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সবটা সেভাবেই এগোচ্ছিল। সামগ্রিকভাবে, আমার কাছে সঠিক কৌশলও ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু শেষের দিকে, আমি লক্ষে পৌঁছতে পারিনি।'
আরও পড়ুন: ৪৫০ কোটি থেকে সামান্যই দূরে! ১২তম দিনে জন্মাষ্টমীর ছুটিতে কত আয় করল স্ত্রী ২
তবে তাঁর এই হারের পর, পাড়ুকোন এবং বিমল কুমার তাঁদের নিয়ে নানা আলোচনা করেন, অলিম্পিকে ভারতের ১২ বছরের পদক জয়ের ধারার সমাপ্তির জন্য শাটলারদের দায়ি করেন। লক্ষ্য জানিয়েছিলেন তাঁর কোচ অলিম্পিকের সময় তাঁর ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের কাছ থেকে অনেকখানি সহানুভুতি পেয়েছিলেন। অভিনেত্রী ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ার ম্যাচের পরে লক্ষ্যের সঙ্গে দেখা করে ছিলেন এবং তাঁকে নানা কথার মাধ্যমে সান্ত্বনা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে লক্ষ্য বলেন, 'তিনি সত্যিই আমার পাশে ছিলেন। এমনকি ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচের পরেও, তিনি আমাকে ডেকে বলেছিল, ‘এখন ঠিক আছেন? চিন্তা করবেন না একদম। আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন, খুব ভালো খেলেছেন।' প্রকাশ স্যার আমার কাছে একজন মেন্টর এবং আমার বাবার মতো ছিলেন। যখনই আমি কোনও পরামর্শ চেয়েছি বা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চয়েছি, তিনি সব সময় আমার সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলেছেন।'