লারা দত্তের কেরিয়ারের তিন নম্বর ওটিটি সিরিজ হতে চলেছে 'কৌন বনেগা শিখরবতী'। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে ৩ বছর বয়সী এই বলি-অভিনেত্রী কোনও লুকোছাপা না করেই জানালেন তাঁর বয়সী অভিনেত্রীদের থেকে কীভাবে মুখ ফিরিয়ে নিতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করে না এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
চল্লিশের কথা পেরিয়ে যে একজন অভিনেত্রী হিসেবে অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন তিনি, সে বিষয়েও ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে অকপটভাবে জানালেন লারা। বক্তব্যের পিছনে তাঁর সাফাই, 'একজন প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স হওয়ার দরুণ পর্দায় সবসময় গ্ল্যামারাস লুকেই হাজির হওয়াটা যেন অলিখিতভাবে আমার নামের সঙ্গে সেঁটে থাকত সবসময়। তাঁর মতে, চল্লিশ পেরিয়ে সেসবের থেকে মুক্ত তিনি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে সেরকম কোনওরকম বাধানিষেধ তাঁর আর কাজ করে না। তবে নায়িকার বয়স বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও ইন্ডাস্ট্রি যে নির্দয়, সেকথাও স্পষ্টাস্পষ্টি বলেছেন তিনি।
এরপর এই প্রসঙ্গে তাঁর বয়সী অভিনেত্রীদের কথা তুললেন লারা যাঁরা এখনও এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে চলেছেন। প্রকৃতির নিয়মে স্রেফ বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলে তাঁরা যে প্রায়শই দর্শকদের ব্যাঙ্গাত্মক সব মন্তব্যের মুখে পড়েন তা বলতেও এতটুকুও দ্বিধা করেননি মহেশ-ঘরণী। লারার কথায়, ' আরে আমরাও তো আর পাঁচজনের মতো রক্ত মাংসের মাসনুষ। আমাদেরও নায়িকাদেরও বয়স বাড়ে।কাজল, মাধুরী দীক্ষিত এমনকী আমি নিজেও যখন পর্দায় আসি তখন দর্শকরা বলে বসেন আরে এঁরা তো বুডঢি হয়ে গেছে, মোটা হয়ে গেছে। সাফ কথা বলছি, আমাদের যে বয়স বাড়ছে তা মেনে নিতে দর্শকদেরও কোথাও অসুবিধে হয়। আর স্বভাবতই সেই চাপ সামলাতে হয় আমাদের।'
নিজের বক্তব্যের শেষে তাঁর সংযোজন, 'তবে নীনা গুপ্তা, রত্না পাঠক শাহ-রা এই বয়সেও যেভাবে চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তা দেখে সত্যিই প্রেরণা পাই। '