বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Lata Mangeshkar Songs: লতার গান চোখে জল এনেছিল নেহেরুর, ফ্রান্স থেকে এসেছিল সম্মান, এক নজরে ফিরে দেখা

মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন লতা মঙ্গেশকর। ৯২ বছর বয়স হয়েছিল মৃত্যুর সময়। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড নেগেটিভ এলেও করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। 

লতার মতো সুরেলা গলা, গায়কী হয়তো আর আসবে না। খুব ছোটবেলা থেকে শুরু হয়েছিল গান গাওয়া বাবার হাত ধরে। সুদীর্ঘ কেরিয়ারের একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছে। তাঁর গানে চোখের জল আটকাতে পারেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। চলুন ফিরে দেখা যাক---

সেপ্টেম্বর ২৮, ১৯২৯: মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকরের। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়। ছোট তিন বোন হলেন উষা, মীনা আর আশা। আর ভাই হৃদয়নাথ। 

১৯৩০: বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের লেখা মারাঠি নাটকে প্রথম অভিনয় করেন ও গান গাইতে শোনা যায়। 

১৯৪২: মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারাঠি সিনেমায় প্লেব্যাক করেন। এই বছরই হারান নিজের বাবাকে। 

১৯৪৬: হিন্দি হানে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। 

১৯৪৯: বয়স ২০ বছর। তাঁর গান গেঁথে বসেছে শ্রোতাদের মনে। দুটো সিনেমার নায়িকা কণ্ঠে শোনা যায় তাঁর গান। মধুবালা-র ‘মহল’-এ ব্যাকগ্রাউন্ড সং ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ আর ‘বরসত’ সিনেমায় নটি গানের প্লেব্যাক করেন তিন নায়িকার জন্য।

১৯৫০-৬০: ততদিনে হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লে ব্যাক সিংগার তিনি। কাজ করে ফেলেছেন সেই সময়ের নামজাদা সুরকার অনিল বিশ্বাস, নৌসাদ আলি, মদন মোহন, এসডি বর্মন, সি রামচন্দ্রদের সাথে। গান গেয়েছেন কিশোর কুমার, মহম্মদ রফির সঙ্গে। 

১৯৬৩: লতা রামলীলা ময়দানে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সামনে গান ‘এ মেরে ওয়াতন কে লোগো’। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈনিক মারা গিয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশেই লেখা হয়েছিল এই গান। 

১৯৬৯: পান প্রথম পদ্ম-সম্মান। পদ্ম ভূষণ তুলে দেওয়া হয় লতার হাতে। 

১৯৭০-৮০: বিভিন্ন ঘরনার গান গাইতে শুরু করে দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। এই সময় লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেরলালের জন্যই গেয়েছিলেন ৭০০ গান। 

১৯৭২: ‘পরিচয়’ সিনেমার জন্য পান প্রথম জাতীয় পুরস্কার। 

১৯৭৪: পারফর্ম করেন লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে। ‘কোরা কাগজ’র জন্য পান দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার। 

১৯৮৯: পান দাদা সাহেব ফালকে সম্মান। 

১৯৯০: ‘লেকিন’ সিনেমার জন্য জিতে নেন তৃতীয় জাতীয় পুরস্কার। 

১৯৯৭: এআর রহমানের সুরে ‘মা তুঝে সলম’ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গাওয়া হয়েছিল এই গান। 

১৯৯৯: পদ্ম-বিভূষণ সম্মান তুলে দেওয়া হয় লতা মঙ্গেশকরের হাতে। 

২০০১: দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারত রত্ন’ পান তিনি। পান ‘মহারাষ্ট্র রত্ন’ও। 

২০০৭: এই বছর লতাকে সম্মান জানানো হয় আন্তর্জাতিক স্তরে। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ‘Legion of Honour’ দেওয়া হয় সুরসম্রাজ্ঞীকে। 

২০১২: মুক্তি পায় LM Music। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় হাজারের বেশি গান গেয়ে ফেলেছেন তিনি এতদিনে। গুবানি থেকে গজল, কাওয়ালি, ক্লাসিক্যাল বিভিন্ন ঘরনায় গান গেয়েছেন। 

জানুয়ারি ৮, ২০২২: করোনা আক্রান্ত লতাকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। 

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২: হাসপাতালেই ত্যাগ করেন শেষ নিশ্বাস। সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।

বন্ধ করুন