১৫০ বছরের ইতিহাস রেখে শহরকে বিদায় জানাচ্ছে কলকাতার ট্রাম। ১৮৭৩ সালে কলকাতা তথা ভারতের বুকে প্রথমবার ট্রাম চলেছিল। তাও ঘোড়ায় টানা ট্রাম। এবার সেই গণপরিবহনকে একটা রুট ছাড়া বাকি সব রুট থেকে তুলে দেওয়া হতে চলল। আর সেই বিষয়েই এবার নতুন ভিডিয়ো আনলেন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর লাফটারসেন।
কী জানালেন লাফটারসেন?
লাফটারসেন বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ইস্যু নিয়ে নিজের মতো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এবার তিনি কথা বললেন ট্রাম নিয়ে। সদ্যই ঘোষণা হয় ধর্মতলা থেকে ময়দান ছাড়া বাকি সব রুটের ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপরই নস্টালজিক হয়ে পড়ে বাঙালিরা। সেই নস্টালজিয়ায় ভর করে এদিনের এই ভিডিয়ো বানান তিনি। একই সঙ্গে জানান কেন ট্রাম বন্ধ হওয়া দরকারি।
নিরঞ্জন ওরফে লাফটারসেনকে ওরফে ট্রামকে এদিন তাঁর ভিডিয়োর শুরুতে বলতে দেখা যায়, 'চল টাটা।' উত্তরে ট্রামলাইন বলে ওঠে, 'আর কটা দিন থেকে গেলে হতো না? তোমাকে ছাড়া একা একা আমি কী করব এখানে?' উত্তরে ট্রাম বলে ওঠে, 'আমরা থেকেও বা কী করব? আর সত্যিই তো আমার জন্য অফিস টাইমে এমন ট্রাফিক লেগে যায়। আমি বাকিদের মতো এত ফাস্ট নই। সবাই এত আপডেটেড। বয়স হয়েছে আমার সিনিয়র মানুষ। এবার রিটায়ারমেন্টের পালা।' লাফটারসেন বুঝিয়ে মানুষের সুবিধার জন্যই তুলে নেওয়া হচ্ছে ট্রাম। তিনি তাঁর ভিডিয়োর শেষে বলেন, 'ইতিহাস গড়তে গেলে আগে ইতিহাস হতে হয়।'
লাফটারসেনের এই ভিডিয়োর সঙ্গে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। তাঁর ভিডিয়োর সাহস কথা ধরে তাঁরা অনেকেই জানান যে তাঁরাও ট্রামকে মিস করবেন। ইতোমধ্যেই এই ভিডিয়োতে প্রায় ৭০ হাজার লাইক পড়েছে তাও মাত্র ৩ ঘণ্টায়।
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম কেউ কখনই বুঝল না।' আরেকজন লেখেন, 'নতুন করে ট্রামের প্রকল্প আনতেই হবে, যে ভাবেই হোক, এটা আমাদের হেরিটেজ, ঐতিহ্যের প্রতীক, একজনের খামখেয়ালিপনার জন্য এই ভাবে ঐতিহ্যকে বিসর্জন দেওয়া যায় না।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এরপর একদিন ঐতিয্যবাহী হলুদ ট্যাক্সিও তার ইতি টানবে।' চতুর্থ জন লেখেন, 'আমি এই প্রথম আপনার ভিডিয়ো দেখে কেঁদে ফেললাম, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল।'