বলিউড তারকা সলমন খানকে হত্যার ছক! এমনই সাংঘাতিক খবর সামনে এল বুধবার। ভাইজানকে হত্যার চক্রান্তের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ফরিদাবাদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এক শার্প শ্যুটারকে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে রাহুল ওরফে সাঙ্গা ওরফে বাবা সুরি নামের ২৭ বছরের ওই কুখ্যাত অপরাধীর। গত ১৫ অগস্ট উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় এই ব্যক্তিকে। পুলিশি জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। উত্তর প্রদেশের ফরিদাবাদের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুলকে। গত ২৪ জুন খুন হন প্রবীণ নামের উত্তর প্রদেশের ওই রেশন ডিলার।
পুলিশ জেরায় রাহুল জানিয়েছে, তাঁর পরবর্তী নিশানা ছিল সলমন খান। এই মর্মে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে মুম্বইয়েও এসেছিল সে। অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের আশপাশ রেইকিও করে গিয়েছে সে। দু-দিন মুম্বইতে ঘাঁটি গেড়েছিল এই শার্প শ্যুটার।
উত্তরাখন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুল ওরফে সাঙ্গা ওরফে বাবা সুরিকে। ভিওয়ানির বাসিন্দা সে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ডিসিপি রাজেশ দুগ্গল জানিয়েছেন, জেরার সময় জানা গিয়েছে রাহুল জানুয়ারি মাসে মুম্বই গিয়েছিল সলমন খানকে হত্যার ছক তৈরি করতে। অভিনেতার বান্দ্রার বাড়িতে পৌঁছেছিল সে। এবং ওই এলাকায় দুদিন থেকেছে। নিজের গ্যাংয়ের অপর দুই সদস্য বিষ্ণোই এবং সম্পত নেহরার কথায় এই রেইকি করে সে'।
খবর, সলমনে হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত নেহরাকেও আগেই হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থানের একটি জেলে বন্দি রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই।পুলিশ সূত্রে খবর করোনা মহামারীর জেরে নিজের পরিকল্পনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে পারেনি রাহুল। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের নতুন সদস্য সে।
কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এই ঘটনার বদলা নিতেই সলমনকে হত্যার পরিকল্পনা, মনে করছে পুলিশ। তদন্ত জারি রয়েছে।