নাম সুনীতা রাজওয়ার, পঞ্চায়েত-২তে ঝগড়ুটে স্ত্রী ক্রান্তি দেবীর হয়ে তিনি এখন বেশ পরিচিত নাম। তবে শুধুই পঞ্চায়েত-২ ছাড়াও টেলি ও সিনেমার বেশ পরিচিত ও সমাদৃত মুখ হলেন সুনীতা। তবে সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে ব্রুট ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সুনীতা রাজওয়ার।
সুনীতা রাজওয়ারের বিস্ফোরক মন্তব্য ‘ইন্ডাস্ট্রিতে চরিত্রাভিনেতাদের সঙ্গে জানোয়ারের মতো আচরণ করা হয়।’ সুনীতার অভিযোগ, ‘বরাবরই কেন্দ্রীয় অভিনেতা ও চরিত্রাভিনেতাদের মধ্যে বৈষম্য মূলক আচরণ হয়ে চলেছে। প্রধান অভিনেতারা তাঁদের সুবিধাঅনুযায়ী কল টাইম পান। যদিও আমি জানি কেন্দ্রীয় অভিনেতাদের মাসের ৩০দিনই হয়ত শ্যুটিং করতে হয়, কখনও কখনও 24×7 আওয়ার্সও কাজ করতে হয়। তবে তারপরেও বলব, প্রধান অভিনেতা এবং অন্য়ান্য অভিনেতাদের মধ্যে যে ধরনের বৈষম্য করা হয় তা হল অপমানজনক।'
সুনীতার স্পষ্ট কথা, ‘আপনি যদি আগে থেকেই জানান, কোনও শিল্পীর আজ শ্যুটিং নেই, তাহলে তাঁকে ডেকে এনে বসিয়ে রাখার কী দরকার! এটা তো ইচ্ছে করেই করা হয়। টেলিভিশনের সেটে তো প্রধান অভিনেতাদের সবসময়ই লাই দেওয়া হয়। প্রধান অভিনেতাদের ঘর ঝকঝকে থাকবে, সেখানে ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ সবই থাকবে। অন্যদের জন্য সেখানে নোংরা ছোট্ট ঘর দেওয়া হয়। সেখানেই ৩-৪জনকে বসিয়ে দেবে, হয়ত সেই ঘরের ছাদ ভাঙা, পরিষ্কার বাথরুমও নেই। বিছানার চাদর নোংরা। এসব দেখে আমার সবসময় খুব খারাপ লাগতো’।
সুনীতার কথায়, ‘আপনি যখন ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন তখন আপনাকে সম্মান করা হয় না, আপনাকে ভাল পারিশ্রমিকও দেওয়া হয় না। আপনার সঙ্গে জানোয়ারের মতো আচরণ করা হয়, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।’
সুনীতা রাজওয়ারের কথায়, এধরনের খারা অভিজ্ঞতার কারণেই তিনি একসময় অভিনয় ছেড়ে দেবে ভেবেছিলেন। দু'বছর অভিনয় দুনিয়া থেকে বিরতি নেন। মনকি তার CINTAA কার্ডও বাতিল করেছিলেন। যদিও পরে ফের ভালোবাসার টানেই অভিনয়ে ফেরে সুনীতা।
প্রসঙ্গত, রাজওয়ার উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং উত্তরাখণ্ডে তাঁর নিজ শহর হলদওয়ানিতে বেড়ে ওঠেন। পরবর্তী সময়ে দিল্লিতে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পড়াশোনার পর তিনি মুম্বই চলে আসেন অভিনয় করার জন্য। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে আন সার্টেন রিগার্ড বিভাগে তাঁর 'সন্তোষ' ছবির জন্য তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন।