আলোচনায় টলিপাড়ার পরিচালক অরিন্দম শীল। পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই অভিনেত্রী। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিচালক অরিন্দম। এমনকি অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রধান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন পরিচালকের দীর্ঘদিনের সঙ্গী শুক্লা দাস। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছিলেন শুক্লা। এমনকি পরিচালক অরিন্দমকে পরিকল্পনা মাফিক ফাঁসানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন শুক্লা দাস।
এবার শুক্লা দাসের বক্তব্য নিয়েই মুখ খুললেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। টিভি৯-বাংলাকে লীনার সাফ কথা, তিনি এবিষয়ে কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না, তারপরও প্রশ্ন উঠছে বলে তিনি মুখ খুলেছেন। এক সময় অভিযোগকারিণী তাঁরই প্রযোজনা সংস্থার ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পরিচালকও ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিকে তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন। তা হলে দু’জনের অবস্থানই এক। দুজনকেই তিনি আগে থেকে চেনেন। তাই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠার প্রশ্নই ওঠে না।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট করে জানান, অভিযোগ মহিলা কমিশনে জমা পড়ার পর পরিচালককে ডেকে কথা বলা তাঁদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। ১ম দিন তাঁর কথা রাজ্য মহিলা কমিশন শুনেছে। ২য় দিনে মুখোমুখি বসিয়ে অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত, দু’পক্ষেরই কথা শোনা হয়েছে। লীনার কথায়, 'সাক্ষী হিসাবে অভিযুক্ত পরিচালক এমন একজনকে আনেন যিনি দীর্ঘদিন পরিচালকের সঙ্গে ধরে কাজ করছেন । সেই সাক্ষী ঘরে ঢুকে পরিচালকের দিকে তাকিয়ে হাসেন। তা আমরা খেয়াল করেছি। সাক্ষী হিসাবে যাঁরা পক্ষপাতিত্ব করেননি, তাঁদের সকলের কথাও আমরা শুনেছি।'
লীনার সাফ কথায়, মহিলা কমিশন যখন বিষয়টা খতিয়ে দেখছে, তখন অভিযুক্ত পরিচালক তাঁকে বারবার ফোন করেছেন, তিনি ফোনও ধরেছেন। তাঁর কাছে সমস্ত কলই রেকর্ড আছে বলে জানান লীনা। রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রধান আরও জানান, তাঁদের সমস্ত কথোপকথন, অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত সকলের বয়ানই তাঁদের কাছে রেকর্ড আছে। প্রয়োজনে তাঁরা সেটা আদলতে জমা দিতেও প্রস্তুত।
এদিকে শুক্লা দাস লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন এবিষয়ে লীনা জানান, ‘শুক্লা দাস, যিনি কিনা পরিচালকের স্ত্রী নন, তিনি যা বলেছেন, তা অবমাননাকর। তিনি কীভাবে দাবি করছেন যে আমরা পক্ষপাতিত্ব করছি?' লীনা আরও বলেন, রাজ্য মহিলা কমিশন আদালত নয় যে প্রয়োজনে দোষীকে শাস্তি দেবে। বরং তাঁরা দু'পক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে হয়। পরিচালক দাবি করছেন রাজ্য মহিলা কমিশন নাকি তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে যে উনি ক্ষমাপ্রার্তী। এটাও তো মিথ্যে। লীনার সাফ কথা, 'আমারা কারোর মুখের কথা বসাতে পারিনা। আমাদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে যাবতীয় প্রমাণ দিত্য বাধ্য হব।আর আমরা আরও এক অভিনেত্রী এবং পরিচালকের স্ত্রীর কাছেও অভিযোগ পেয়েছি।’