নারী স্বাধীনতা ঠিক কী এনিয়ে নানা মুনির নানান মত। সে যাই হোক, বাংলা সিরিয়ালের বেশিরভাগ গল্পই বরাবরই নারীকেন্দ্রীক। তবে তারই মাঝে নারী দিবসের প্রাক্কালে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নতুন বাংলা সিরিয়াল 'চিরসখা'। যে সিরিয়ালের গল্পে দেখা যাচ্ছে নারী দিবসের ঠিক আগে আগেই কমলিনীর বড় ছেলের বিয়ে। এদিকে বিয়ের সময় পাত্রীপক্ষের দাবি ছিল মা-কে নাকি ছেলের বিয়ে দেখতে নেই। যদিও এমন ভাবনার বিরোধিতা করেছে কমলিনীর মেয়ে, তার ছোট ছেলে ও ছোট ছেলের হবু স্ত্রী। এমনকি কমলিনীর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্রও। তবে কি প্রথা ভেঙেই এগোবে সিরিয়ালের গল্প?
এই প্রশ্নর উত্তর অবশ্য আগামী পর্বগুলিতেই মিলবে। এদিকে এই সিরিয়ালের গল্প আরও একটি বিষয়ে প্রগতিশীল পথেই হেঁটেছে। যেখানে বিয়ে বিয়ের আভ্যুদয়িক কাজও করতে দেখা গিয়েছে কমলিনীর ঠাকুরপো স্বতন্ত্রকে। পরিবারের কেউ না হয়েও স্বতন্ত্রের এই কাছে আপত্তি জানায়নি কমলিনীর ছেলেমেয়ে কিংবা ভাই। এবার প্রশ্ন, তবে বিতর্ক কী নিয়ে?
সিরিয়ালের গল্পে দেখা যাচ্ছে, কমলিনীর ছোট ছেলে ও মেয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তার দাদা-বৌদি একাই মধুচন্দ্রিমায় যাবে, নাকি গোটা পরিবারের সকলেই যাবে? তাঁদের মতামত বেড়াতে গেলে সকলেরই একসঙ্গে যাওয়া উচিত। এবার প্রশ্ন, তবে কি একজন নব-বিবাহিতা দম্পতি আলাদা করে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন না? 'চিরসখা'র গল্প নিয়ে এই একই প্রশ্ন উঠে ছিল নেটপাড়াতেও।
আর সম্প্রতি এবিষয়েই আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন খোদ সিরিয়ালের গল্পকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মধুচন্দ্রিমায় পরিবার নিয়ে যাওয়া যায় না, এটা তিনি মনে করেন না। এক সময় নতুন স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে চিনতেন না। দেখাশোনা করে করে বিয়ে হত। তখন তাঁদের খানিকটা সময় একান্তে কাটানোর প্রয়োজন হতেও পারত, একে অপরকে চিনে নেওয়ার জন্য। এখন সকলেই একসঙ্গে সময় কাটিয়ে বিয়ের কথা ভাবেন। ফলে সে রকম যৌথ পরিবারে বিয়ের পর বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সকলকে নিয়ে যাওয়াই তো ভাল বলেই মনে করেন লীনা।
এদিকে এই একই বিষয়ে সিরিয়ালের কমলিনীর ছোটছেলের প্রেমিকা মিঠিল অর্থাৎ অভিনেত্রী লাভলি মিত্র আনন্দবাজারকে জানান, সিরিয়ালের গল্প অনুযায়ী এই পরিবারের সদস্যরা সকলে একসঙ্গে থাকতেই ভালোবাসে। আর তাই পুরী বেড়াতে গিয়ে কমলিনী তার ছোটছেলের বান্ধবীকেও সঙ্গে নিয়েছিল। আর এই সবকিছুই হয়েছে পারিবারিক ভালোবাসা আর বন্ধনের খাতিরেই।