অভিনেত্রী কবরীর মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের মৃত্যুশোকের যন্ত্রণায় কাতর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দুনিয়া। শনিবার মধ্যরাতে প্রয়াত অভিনেতা ওয়াসিম। এদিন রাজধানী ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে রাত ১২টা ৪০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। ৭১ বছর বয়সী এই অভিনেতার মৃত্যু সংবাদ সেদেশের সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে ওপার বাংলার ছবিতে রাজ করছেন ওয়াসিম। চলচ্চিত্র জগতে সহকারী পরিচালক হিসাবে পা রেখেছিলেন ওয়াসিম। এরপর মোহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ ছবির সঙ্গে অভিনেতা হিসাবে সফর শুরু তাঁর। তবে তাঁকে ব্যাপক সাফল্য এনে দেয় ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬) ছবিটি। ফিল্মি কেরিয়ারে প্রায় ১৫২ ছবিতে অভিনয় করেছেন ওয়াসিম।
বেশকিছু সময় ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ওয়াসিম। কিডনি, ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপ ও চোখের জটিল সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে আচমকা পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
সব জঁর ছবিতেই অভিনয় করেছেন ওয়াসিম। তবে ফোক-ফ্যান্টাসি ও অ্যাকশন ঘরনার ছবির নায়ক হিসেবে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁর কেরিয়ারের কিছু উল্লেখ্যযোগ্য ছবি-'ডাকু মনসুর', ‘জিঘাংসা’, ‘কে আসল কে নকল’, ‘বাহাদুর’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘মানসী’, ‘দুই রাজকুমার’, ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘ইমান’, ‘রাতের পর দিন’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’,' লাল মেম সাহেব', ‘জীবন সাথী’, ‘রাজনন্দিনী’, ‘রাজমহল’ এবং ‘বিনি সুতার মালা’।
১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ চাঁদপুরের মতলবে জন্ম ওয়াসিংমের। ইতিহাস নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় প্রবেশ করেন। শুধু অভিনয় নয়, বডি বিল্ডিংয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। ১৯৬৪ সালে ‘মিস্টার ইস্ট পাকিস্তান’ খেতাব অর্জন করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।