দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে লড়াই করছিলেন। শুক্রবার থেমে গেল সেই লড়াই। প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪।
গত ৫ অগস্ট চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল একাধিক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পীকে। তাঁর করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। ১৪ অগস্ট ভোরে আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। দ্রুত স্থানান্তরিত করা হয়েছিল আইসিইউতে। তাঁর আরোগ্য কামনায় অসংখ্য অনুরাগী প্রার্থনা করছিলেন।
সেই অনুরাগীদের স্বস্তি দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে এসপিবির (অনুরাগীরা তাঁকে সেই নামেও ডাকেন) শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতিও হচ্ছিল বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আবারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। গত সন্ধ্যায় হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁর অবস্থা অতি সংকটজনক। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অসংখ্য অনুরাগী।
তারপর শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, আজ (শুক্রবার) সকালে সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যমের পুত্র এসপি চরণ বলেন, ‘এসপিবি সবার। উনি নিজের গানের মধ্যে দিয়ে অমর থাকবেন। আমার বাবা দুপুর ১ টা ৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
কোনও ভাষা ও গানের ধারা কখনও এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যমের গানের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি বলিউডি ছবিতে একাধিক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। এমজিআর, শিবাজি গণেশান, রজনীকান্ত, কমল হাসান, সলমন খান থেকে শুরু করে অসংখ্য অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন। অনুরাগারী তাঁকে পাদুম নীলা উপাধি দিয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকে বলিউডে সলমন খানের ‘মেয়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকেে হ্যায় কৌন’-এর মতো সুপারহিট ছবিতে প্রতিটি গানে প্লে-ব্যাক করেছিলেন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। শাহরুখ খানের ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এও গান গেয়েছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী।