২৫ অগস্ট মুক্তির পরই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে ‘লাইগার’। প্রেক্ষাগৃহ দর্শকের দেখা নেই। ‘লাইগার’ নিয়ে এত নেতিবাচক চর্চা যেন থামছেই না। দুর্বল চিত্রনাট্য এবং চিত্রগ্রহণ— সব মিলিয়েই বক্স অফিসে ধরাশায়ী পুরী জগন্নাথ পরিচালিত ‘লাইগার’। অনন্যা পণ্ডের দুর্বল অভিনয় দর্শক টানতে পারেনি সিনেমা হলে। এ দিকে বিজয় দেবেরাকোন্ডা বলিউডের ডেবিউ ছবিতে ছাপ ফেলতে পারেনি দর্শকমনে।
ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ারাঙ্গল শ্রীনু প্রকাশ করেছেন, ছবিটি ঘিরে ‘ধর্মঘট’ করা হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন, ছবির টিমের বিরুদ্ধে 'একটি সমন্বিত প্রচারণা' বলে মনে হচ্ছে। বক্স অফিসের দশা, সিনেমা মুক্তির আগে বিজয় দেবরাকোন্ডার মন্তব্য সম্পর্কেও কথা বলেছেন। ওয়ারাঙ্গলের মন্তব্য, 'আমরা দরিদ্র ক্রু সদস্যদ, দরিদ্র পরিবারগুলিকে ধ্বংস করছি'। আরও পড়ুন: ‘এক বছর ধরে সিঙ্গেল’, সারা আলি খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন কার্তিক
বক্স অফিসে ঝড় তুলবে 'লাইগার'। ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বিজয় দেবারকোন্ডা। কিন্তু ভাবনার সঙ্গে বাস্তব আর মিলল কোথায়! মুক্তির দিনই বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে 'লাইগার'। অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায় ধর্মা প্রোডাকশনসের এই ছবি। অভিনয় করেছেন বিজয়, অনন্যা পাণ্ডে, রাম্যা কৃষ্ণা এবং রণিত রায়। বক্সার মাইক টাইসনকে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, প্রথম সপ্তাহে দেশজুড়ে বক্স অফিসে মাত্র ৩৫ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি। আরও পড়ুন: 'RRR' থেকে 'ভুল ভুলাইয়া ২', নেটফ্লিক্সের সেরা ১০য়ের তালিকায় ৫টি ভারতীয় সিনেমা
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীনু বলেন, ‘ধর্মঘট হল একটি শব্দ।’ বিগত ১২ মাসে ১০০ কোটি লোকসানের বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'অনেক টাকা, সন্দেহ নেই' হারিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘লাইগার-এর হিসাবে, আমি আমার বিনিয়োগের ৬৫ শতাংশের মতো কিছু হারিয়েছি।’ আরও পড়ুন: বাড়ছে শোয়ের সংখ্যা, তবু ‘কলকাতা চলন্তিকা’ নিয়ে একটা আক্ষেপ রয়েছে পাভেলের
‘লাইগার’ মুক্তির মুখে বিজয়ের মন্তব্য সম্পর্কে তিনি ওয়ারাঙ্গল বলেছেন, ‘ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিল কিনা তা বলতে পারব না। যদি ও আত্মবিশ্বাসী হয়েও থাকে, তাতে খারাপ কোথায়? এখানে কারও ছবি না দেখার মতো তো মানে নেই। আমরা কি বুঝতে পারছি না যে- অভিনেতা এবং পরিচালকের নিষিদ্ধ করার আমাদের অনুসন্ধানে, পূর্বকল্পিত ধারণার ভিত্তিতে, আমরা দরিদ্র ক্রু সদস্যদের দরিদ্র পরিবারগুলিকে ধ্বংস করছি। সিনেমার আয় কমবে, বেশ কয়েকটি পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যারা রুজিরুটির জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। চলচ্চিত্র শিল্প একটি খুব খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যারা আধিপত্য বিস্তারকারী অন্যায় নিষিদ্ধ সংস্কৃতির সদস্য, তাঁদের উপেক্ষা করা উচিত। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত প্রচারণা চলছে বলে মনে হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণরূপে অযাচিত। ফিল্মটি দেখুন এবং যদি আপনি এটি পছন্দ না করেন তবে এটি থ্র্যাশ করুন। কিন্তু মুক্তির আগেই না দেখেই এইভাবে পিষে দিলেন?’