৭ অক্টোবর পর্যন্ত NCB-র হেফাজতে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে এক প্রমোদতরী থেকে ফিল্মি কায়দায় আটক করা হয় আরিয়ান খান-সহ আরও অনেককে। যার মধ্যে তিন হাই-প্রোফাইল নাম-- শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান, মুম্বইয়ের মডেল মুনমুন ধামেচা এবং আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট।
গোয়াগামী প্রমোদতরীতে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার শাহরুখ পুত্র। কিন্তু সেই প্রমোদতরীতে মাদক কীভাবে পৌঁছাল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র অফিসাররা তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক চমক খুঁজে পাচ্ছেন। শার্লক হোমস বা আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাসের থেকে কম নয়! মঙ্গলবার মুম্বইয়ের এক আদালতে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার, শাহরুখ পুত্রের উপস্থিতি, ক্রিপ্টোকারেন্সি-র মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব থেকে মাদক ক্রয়, আরবাজের জুতো থেকে ড্রাগ, মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি প্যাড থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার- এসবের পরই এনসিবি আধিকারিকদের দাবি, ‘প্রতি মুহূর্তে যেন নতুন চমক আসছে। নতুন নতুন তথ্য মিলছে জেরার মাধ্যমে। শার্লক হোমস বা আগাথা ক্রিস্টির মতো গোয়েন্দা উপন্যাসের থেকে কম নয় এই মাদক-কাণ্ড’।
আরিয়ান খানদের জেরার পর, মঙ্গলবার তল্লাশি চালিয়ে আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুল কাদের শেখ, শ্রেয়স নায়ার, মনীশ রাজগারিয়া, অবীন সাহুকে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত NCB-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। NCB আধিকারিকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, শ্রেয়সের কাছ থেকে মাদক কিনতেন আরিয়ানরা।
এনসিবির তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলায় মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গুরুত্বপূর্ণ। আরিয়ান এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে যে ফোন উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো সব ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তদন্তে ফোনের চ্যাটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।