জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবসের দিন নিজের ক্যানসার যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন লিজা রায়। ২০০৯ সালে তিনি একটি বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বোনম্যারোর প্লাজমায় ক্যানসার হয়েছিল তাঁর। পরবর্তীকালে চিকিৎসার পর তাঁকে ক্যানসার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় তাঁর। লিজা রায় সাম্প্রতিকতম পোস্টে জানান কেমোথেরাপির কারণে তাঁর চুল উঠে যায়। ছোট চুলের কারণে তাঁকে এরপর ট্রাভেল শো থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলেই জানান লিজা।
লিজা জানান চিকিৎসক যখন তাঁর ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট দেখেছিলেন তিনি বলেছিলেন, 'এখনও দাঁড়িয়ে আছেন কীভাবে? আপনার রেড ব্লাড সেল কাউন্ট এতটাই কম যে কোনও মুহূর্তে আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে!' এরপর তাঁর আরও বেশ কয়েকটি টেস্ট করা হয় বলেই জানান তিনি। এবং তখন তাঁর বোন ম্যারোর প্লাজমা ক্যানসার ধরা পড়ে। 'সেই মুহূর্তে জীবনে প্রথম বার থমকালাম। গভীর শ্বাস নিলাম। আমার জীবনের একটা অংশ রেড কার্পেট নিয়ে ব্যস্ত থাকত, আরেকটি স্পিরিচুয়াল জিনিস নিয়ে। আমি সবসময় একটা বই লিখতে চেয়েছিলাম। এটা আমার নিজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু কাজের চাপের কারণে সেটা আর করা হয়নি,' বলেই জানান লিজা।
লিজা রায় তাঁর পোস্টে জানান কীভাবে ক্যানসার তাঁর জীবন সহ সমস্ত কিছুই বদলে দিয়েছিল। স্টেম সেল সার্জারির সময় মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন বলেই জানান অভিনেত্রী। তবে এই সার্জারি তাঁকে পুনর্জন্ম দিয়েছে। তাঁর ক্যানসার জয়ের এই যুদ্ধ আরও অনেককে সাহায্য করেছে বলে জানান তিনি।
লিজা জানান, 'ট্রিটমেন্টের পর একবার উইগ পরে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভীষণ খারাপ দেখতে লাগছিল।' এরপর অভিনেত্রী উইগ খুলে ন্যাড়া মাথাতেই সবার সামনে গিয়েছিলেন। কেমো নেওয়ার পর তিনি একটি ট্রাভেল শোয়ের অংশ ছিলেন। তখন তাঁর কেমো কাট ছিল চুলে। আর সেই কারণেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সেই শো থেকে সরিয়ে দেয়। 'তারা লম্বা চুলের কোনও মেয়েকে চেয়েছিল। এটা ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল আমায়' জানান অভিনেত্রী।
প্রথমবার ক্যানসার জয় করার তিন বছরের মধ্যে তাঁর বিয়ের সময় ফের ক্যানসার ধরা পড়ে। তখন আবারও মাসখানেকের চিকিৎসার পর সুস্থ হন অভিনেত্রী।