বচ্চন পরিবারে অশান্তির গুঞ্জন ঘিরে সরগরম বলিপাড়া। অভিষেক-ঐশ্বর্যর সম্পর্কেও নাকি তিক্ততা দানা বেঁধেছে! নেপথ্যে শাশুড়ি-বউমার ‘তু-তু-মেয়-মেয়’। গণতন্ত্রের উৎসবেও একসঙ্গে পাওয়া গেল না বচ্চন পরিবারকে। এদিনও আলাদা আলাদা তাঁরা। আরও পড়ুন-‘জওয়ান’-এ প্রশ্ন তোলেন মরচে ধরা সিস্টেম নিয়ে, বউ-বাচ্চাদের নিয়ে ভোট দিলেন শাহরুখ
সাংসদ বউ জয়াকে নিয়ে এদিন ভোট দিতে পৌঁছেছিলেন অমিতাভ। শাহেনশার পরনে সাদা কুর্তা-পাজামা এবং ক্রিম রঙা জহর কোট। পাপারাৎজিদের ক্যামেরা দেখলেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন জয়া বচ্চন। এদিনের ছবিটাও খুব বেশি আলাদা নয়। মিডিয়ার ঠেলাঠেলির মাঝে জয়ার চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। তবে এদিন আগ বাড়িয়ে শাপশাপান্ত করতে দেখা গেল না জয়াকে। ছবি শিকারিরা তাঁরে পোজ দিতে অনুরোধও জানায়নি।
অমিতাভের দিকে অবশ্য আবদার পৌঁছেছিল। খুব বেশি পাত্তা দেননি বিগ বি। গটগটিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর স্ত্রীকে আগলে বেরিয়ে আসেন ভোটকেন্দ্রের বাইরে এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই গাড়িতে উঠে রওনা দেন।
শ্বশুর-শাশুড়ি ভোট দিয়ে বেরানোর পরেই হাজির ঐশ্বর্য। হাত ভেঙেছে নায়িকার। ভাঙা হাত নিয়েই বচ্চন বধূ পৌঁছেছিলেন কানে। রবিবার কাকভোরেই মেয়েকে নিয়ে মুম্বইয়ে ফেরেন ঐশ্বর্য। আজ দুপুরে নাগরিক দায়িত্ব পালনে অবিচল অ্যাশ হাতে স্লিং বেঁধেই পৌঁছেছিলেন ভোট দিতে। সাদা ওভারসাইড টি শার্টে ঝলমলে নীল নয়না। তাঁর মুখের হাসি ছিল অটুট। এদিন ঐশ্বর্যর পাশে দেখা মেলেনি অভিষেকের।
ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের ক্যামেরার জন্য পোজ দেন ঐশ্বর্য। কেমন আছেন তিনি? পাপারাৎজিদের প্রশ্নের উত্তরে ঐশ্বর্য বলেন, ‘আমি এখন ভালো আছি’।
গত কয়েক মাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে বচ্চন পরিবার। নেপথ্যে অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন। মাঝে এমনটাও শোনা গিয়েছিল, জলসা ছেড়ে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে আলাদা থাকছেন রাই সুন্দরী। সব বিষয়ে ননদ শ্বেতা ও শাশুড়ির দখলদারিতে নাকি বিরক্ত অ্যাশ। তবে সেই সবের মাঝেও বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা মিলেছে অভিষেক-ঐশ্বর্যর। গত মাসে একসঙ্গে বিবাহবার্ষিকীও উদযাপন করেছেন মেয়েকে নিয়ে। তবে শাশুড়ি-ননদিনিকে এড়িয়েই চলছেন রাই সুন্দরী। গত মাসে শাশুড়ির জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তাও দেননি অভিনেত্রী।
২০০৭ সালে অভিষেকের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন নীল নয়না সুন্দরী। তারপর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে এক ছাদের নীচেই সংসার করেছেন। তবে মাস খানেক ধরেই কানাঘুষো নিত্য-অশান্তি লেগেই রয়েছে বচ্চন পরিবারে।