নুসরত জাহান দাবি করছেন তাঁর নাকি বিয়েই হয়নি নিখিল জৈনের সঙ্গে। নিখিলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে বুধবার ‘সহবাস’ বলে দাবি করেছেন নুসরত। নিখিল তাঁর স্বামী নয়, আইনত তাঁদের বিয়ে অবৈধ মত বসিরহাটের তারকা সাংসদের।
৬ মাস ধরে আলাদা থাকছেন নুসরত-নিখিল। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে কম লেখালেখি হয়নি সংবাদমাধ্যমে। নিখিল এই নিয়ে মিডিয়ার সামনে বার কয়েক মুখ খুললেও আশ্চর্য এক নীরবতা বজায় রেখেছিলেন নুসরত জাহান। আর বুধবার যখন তিনি মুখ খুললেন তখন রীতিমতো বোমা ফাটালেন বলা যায়। নুসরত তুরস্কের বোদরুমে অনুষ্ঠিত ১৯ জুনের বিয়েকে অবৈধ ও বেআইনি বললেও ভারতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের রেকর্ড বলছে অন্য কথা।
সংসদের ওয়েবসাইটে যে ডেটা মজুত রয়েছে সেখানে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ‘রহুি,শ্রীমতী নুসরত জাহান’-বিবাহিত তেমনই উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, নুসরত জাহানের বিয়ের তারিখ হিসাবে লেখা রয়েছে ১৯শে জুন ২০১৯ এবং তাঁর স্বামীর নাম হিসাবে জ্বলজ্বল করছে নিখিল জৈনের নাম।
তবে কি সংসদে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন নুসরত জাহান? এ কথাও ভুললে চলবে না লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর নির্দিষ্ট দিনে শপথ নেননি নুসরত। বিয়ের কারণ দেখিয়ে দিন কয়েক পর শপথ নেন তিনি। কারণ শপথগ্রহণের দিনে তুরস্কে বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। ফিরে এসে ২৫শে জুন সংসদে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণের সময় মাথায় চওড়া সিঁদুর, হাতে লাল চূড়ায় দেখা মিলেছিল তাঁর। শুধু তাই নয়, শপথ গ্রহণের শুরুতেই নিজেকে ‘নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। সুতরাং নিখিলের পদবি নিজের নামের পাশে জুড়ে ছিলেন এই তারকা সাংসদ।
মাত্র দুৃ-বছরের ব্যবধানে নুসরত নিখিলের সঙ্গে বিয়েটাকেই খারিজ কর জানালেন, ‘তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই বিয়েটা অবৈধ। তার উপর এটা যেহেতু হিন্দু-মুসলিম বিয়ে সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে এই বিয়েতে স্বীকৃতি দরকার। সেটা হয়নি। ফলে এটা বিয়েই নয়।আইনের চোখে এটাই বিয়েই নয়, বরং একটা রিলেশনশিপ বা বলা যায় লিভ ইন রিলেশনশিপ। তাই ডিভোর্সের প্রশ্নটাই উঠে না’।
নিখিল এই ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি। জানিয়েছেন ‘আমি কোনওদিন মন্তব্য করব না ওঁনার (নুসরত) এই অভিযোগ নিয়ে। কারণ এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কোর্টে সিভিল স্যুট দাখিল করা রয়েছে। এবং আইনজীবীরা তাঁদের কাজ করছেন’।