ভালো ছবি তৈরি করলে দর্শক তা দেখবেন— বক্তা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। 'লক্ষ্মী ছেলে' নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী পরিচালক। বক্স অফিসেও সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। অবশেষে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় প্রযোজিত এই ছবির হাত ধরে টলিউডের খরা কাটল।
২৬ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে 'লক্ষ্মী ছেলে'। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন উজান গঙ্গোপাধ্যায়, পূরব শীল আচার্য, ঋত্বিকা পাল, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য প্রমুখ। কৌশিক মনে করেন, ছবির বিষয় ভালো হলে, দর্শকমহলেও তা প্রশংসিত হবে। প্রেক্ষাগৃহ ভরাতে স্লোগান তোলার প্রয়োজন পড়বে না। ঠিক তা-ই হল। দর্শক-মনে ছাপ ফেলতে সফল অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই আখ্যান। 'লক্ষ্মী ছেলে' দেখতে প্রেক্ষাগৃহগুলিতে ভিড় জমছে। খুশি হলমালিকরাও।
নবীনা সিনেমার কর্ণধার নবীন চৌখানি বলেন, 'ছবিটি খুবই ভালো ব্যবসা করছে। দর্শকদের থেকে খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি আমরা। এই ছবি দেখে তাঁরা মুগ্ধ।'
(আরও পড়ুন: আমার সঙ্গে কাজ করতে উজান ২১ বছর অপেক্ষা করেছে, এটাকে স্বজনপোষণ বলে না: কৌশিক)
নবীনের মতোই 'লক্ষ্মী ছেলে' নিয়ে উচ্ছ্বসিত পিভিআর সিনেমার উজ্জ্বল বিশ্বাস। তাঁর কথায়, 'শুরুর দিনই ভালো আয় করেছে ছবিটি। দর্শকরাও প্রশংসাও করছেন। আশা করছি, পরের সপ্তাহান্তে আরও ভালো ব্যবসা করবে এই ছবি।'
(আরও পড়ুন: 'সমাজসেবার জন্য বাংলা ছবি দেখবেন না', বক্স অফিসে সাফল্যের পথ বাতলে দিলেন কৌশিক)
দর্শকমহলে ছবিটি চর্চিত। সেই সুবাদে 'লক্ষ্মী ছেলে'-র শো সংখ্যা বেড়েছে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে। ২০২০ সালে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। টানা দু'বছর পর অপেক্ষার পর ছবির এই সাফল্যে আপ্লুত শিবপ্রসাদ। তাঁর কথায়, 'আমি খুব খুশি। এই সাফল্য আসলে নবীনদের জয়ের কথা বলে। নেটমাধ্যম খুললেই ছবিটি নিয়ে ভালো ভালো পোস্ট চোখে পড়ছে। ছবির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে এত ভালোবাসা পাচ্ছেন!'
আরও একবার বিষয়ভিত্তিক ছবি এবং বাণিজ্যিক সাফল্যের ভারসাম্য খুঁজে নিলেন নির্মাতারা? 'বেলাশুরু'র মতোই সাফল্যের শিখর ছোঁবে 'লক্ষ্মী ছেলে'? এখন সেটাই দেখার।