সদ্য বিয়ে করেছেন, স্বর্ণদীপ্ত ঘোষ ও অর্পিতা মণ্ডলকে এখনও নব-দম্পতিই বলা যায়। লক্ষ্মী কাকিমা ধারাবাহিকে অপরাজিতা ওরফে ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র ছেলে এবং ছেলের বউয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্বর্ণদীপ্ত এবং অর্পিতা। সেখান থেকেই তাঁদের প্রেমের শুরু হয়। এরপর গতবছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে বিয়েও করে ফেলেন স্বর্ণদীপ্ত এবং অর্পিতা।
বিয়ের পর গত ২৬ জানুয়ারি প্রথম জন্মদিন সেলিব্রেট করেন অর্পিতা মণ্ডল। জন্মদিনের একমাস পর আরও একবার হল সেলিব্রেশন। তারই বেশকিছু মুহূর্ত তবে ২ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকালে শেয়ার করেছেন অর্পিতা মণ্ডল। অর্পিতার পোস্ট দেখে অনেকেই আজ (শনিবার) তাঁর জন্মদিন বলে ভুল করেছিলেন। কিন্তু নাহ, এদিনটা তাঁর জন্মদিন নয়, তা নিজের পোস্টেই খোলসা করেছেন অর্পিতা।
নিজের দিদিকে ‘প্ল্যানকুমারী’ আখ্যা দিয়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, ‘পিকনিক’-এর নাম করে আরও একবার তাঁর জন্মদিন সেলিব্রেশনের আয়োজন করে ফেলা হয়। দিদি, দাদা-বৌদি স্বামী স্বর্ণদীপ্ত সহ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সেই সেলিব্রেশনের ছবিই পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। লিখেছেন, ‘না না না আআআ আজ জন্মদিন আমার নয়. .ফেলে এসেছি দিনটা, কাটিয়ে ছিলাম পাহাড়ে. ...ওবাবা অর্পিতা খেপির বার্থডে বলে কথা আমার দাদা অনির্বাণ ঘোষ এবং দিদি শ্রী বসু কেন আমায় ছাড়বে? সারপ্রাইস প্ল্যান করে ফেলেছিলেন একমাস পর. ..নতুন করে বলার কিছুই নেই, আমার দিদি হলেন প্ল্যান কুমারী. ...সারপ্রাইস প্ল্যান এ মাস্টার মাইন্ড।কবে থেকে যে এই সব প্ল্যান করে রেখেছিলেন কে জানে, পিকনিক এর নাম দিয়ে করা হলো সেলেব্রেশন। তার সঙ্গে জমিয়ে সাপোর্ট করেছেন আরও একটা মানুষ, যার কথা না বললেই নয় তিনি হলেন পৌষালী বৌদি।অসুস্থ শরীর নিয়ে পুরো রেডি প্ল্যান এ. ....’। সবশেষে নিজের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে অর্পিতা জানিয়েছেন, তিনি ভীষণ খুশি।
প্রসঙ্গত, বিয়ের পরপরই উত্তরবঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন অর্পিতা-স্বর্ণদীপ্ত। সেই দিনটাই ছিল ২৬ জানুয়ারি, অর্পিতার জন্মদিন। স্ত্রী জন্মদিন আর মধুচন্দ্রিমা দুটোই তাই স্পেশাল করে তুলেছিলেন স্বামী স্বর্ণদীপ্ত। কালিম্পং-এক হোম-স্টেতে ছিলেন অর্পিতা-স্বর্ণদীপ্ত। সেখানেই অর্পিতাকে সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন তাঁর অভিনেতা স্বামী। সেদিন হোম-স্টের দরজা খুলতেই সারপ্রাইজটা পেয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা। কথা বলতে পারেননি অভিনেত্রী, উপহার পেয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন।
স্বর্ণদীপ্তের পরিকল্পনা মাফিক সেদিন হোমস্টের বিছানায় আগে থেকেই Happy Birthday লিখে রেখেছিলেন সেখানকার কর্মীরা। সারা বিছানায় বেলুন দিয়ে সাজিয়ে রাখা ছিল। সঙ্গে ছি কালিম্পংয়ের বিখ্যাত বেকারির কেক। তবে সেই জন্মদিনের একমাস পর আবারও একবার তাঁর ‘প্ল্যানকুমারী’ দিদির পরিকল্পনা মাফিক কেক কাটলেন অর্পিতা।