কর্মক্ষেত্রে অনেক অসফলতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সেই সম্পর্কে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনেত্রীর কথায়, লড়াই অনেক হেরেছেন তবে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় সেটাই বেছে নেন তিনি।
হলিউডে পা রাখার আগেই বলিউডে সফল অভিনেত্রী হিসেবে নিজের মাটি শক্ত করেছিলেন ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’ অভিনেত্রী। টেলিভিশন শো কোয়ান্টিকোতে কাজ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। ডোয়ান জনশনের বেওয়াচ ছবিতে খলনায়িকার ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে। সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট।
ভোগ অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ‘সবাই সবসময় জেতে না। আমি অনেক ছবি বানিয়েছি যেগুলো কেউই দেখতা না। ব্যর্থ হওয়ার পর তুমি কি করো সেটাই আসল। আমার জন্য জীবন একটা সিঁড়ি। কখনোই কোনো গন্তব্য নয়’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমারা এশিয়াবাসীদের হামেশাই শেখানো হয়, তোমাকে প্রতিদিন তোমার আশেপাশের সকলের থেকে জোড়ে দৌড়াতে হবে। আমি মূলধারার ছবির শীর্ষস্থানীয় মহিলা হিসাবে দেখতে চেয়েছিলাম নিজেকে। আরো অনেক ভাবে নিজেকে দেখতে চেয়েছি যার জন্য ১০ বছর কাজ করার প্রয়োজন ছিল। এবং অবশেষে, আমার মনে হয় আমি এমন জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি যেখানে আমি এটা করতে পেরেছি। তাই আমার মনে হয় দায়িত্ব এক সময় তোমাকে গোলপোস্টের কাছে নিয়ে যাবে। কেবল নিজেকে নয়, আপনার পরে আসা প্রত্যেকেই। সাউথ এশিয়ার পরবর্তী প্রতিভার জন্য আমার মনে হয়, তাঁরা যেটা চায় সেটা পেতে ১০ বছরও লাগবে না’।
বর্তমানে আমাজন প্রাইমের স্পাই সিরিজ ‘সিটাডেল’-এর শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত তিনি। রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে অ্যাভেঞ্জার্সের শ্যুটিং করবেন দেশি গার্ল। শীঘ্রই প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যাবে ‘ম্যাট্রিক্স ৪’ এবং ‘দ্য টেক্সট ফর ইউ’তে। দেশের করোনা পরিস্থিতে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে প্রিয়াঙ্কাকে। তহবিলও গঠন করেছেন তিনি।