'লাভ আজ কাল' ট্রেলারের পর অভিনয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সেজন্য অত্যন্ত ব্যথা পেয়েছেন। এমনটাই জানালেন সারা আলি খান।
ইমতিয়াজ আলির সিনেমার ট্রেলার লঞ্চের পর অভিনয়ের জন্য তুমুল সমালোচিত হয়েছেন। বিশেষত একটি দৃশ্যে সারার অভিনয় নিয়ে একেবারেই না-খুশ অনুরাগীরা। যদিও সারা জানান, ওই দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি চোখের জল সামলাতে পারেননি। অথচ সেই দৃশ্য নিয়েই ট্রোল হওয়ায় সেজন্য অত্যন্ত ব্যথা পেয়েছেন সারা।
সাংবাদিক অনুপমা চোপড়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, মোটা হওয়ার জন্য ট্রোল করা হলেও আমার কিছু মনে হয় না। টুপি পরার জন্য ট্রোল করা হলেও আমার কিছু মনে হয় না। কিন্তু আমি এখানে অভিনয় করতে এসেছি। এটা আমার কাজ। এটা আমার পেশা। এটা অত্যন্ত সিরিয়াস। তাই আচমকা আমি যখন (অভিনয়ের জন্য) ট্রোলের মুখে পড়ি, তা আমার পক্ষে হজম করা কঠিন। আত্মবিশ্বাস বজায় থাকলেও ট্রোলগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এই প্রথম আমায় আঘাত করল। আমায় ব্যথা দিয়েছে।
যে দৃশ্য নিয়ে মূলত ট্রোলের মুখে পড়েছেন, সেই দৃশ্যের চিত্রায়ণের সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সইফ কন্যা। সারার কথায়, আমাদের মনিটর দেখার অনুমতি ছিল না। তাই (দৃশ্যটা) কেমন লাগছিল, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। আমি বিষয়টা নিয়ে ইমতিয়াজ স্যারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কী হয়েছিল যে, আমি ভালো লাগছিলাম না। যখন ওভার অ্যাক্টিংয়ের জন্য ট্রোল করা হচ্ছে তখন সত্যিটাই বলছি যে, নিজের চরিত্রের জন্য আমায় কী অনুভব করতে সেটাও তো জানতামই। আর সেই সময় জোকে (সিনেমায় সারা চরিত্রের নাম) ঠিক কী অনুভব করতে হবে, তা ইমতিয়াজ স্যার আমায় অনুভব করিয়ে দেন।
সারা আরও বলেন, 'আমি সত্যিই কাঁদছিলাম। জো সেই সময় যেটা ভাবত আমি সেটাই ভাবছিলাম। আমার মধ্যে তখন যেটা এসেছিল, সেটাই করেছিলাম।'
তবে সারার মতে, তাঁকে সবসময় ভালো দেখতে লাগবে বলে আশা করেন অনুরাগীরা। সেটাই হয়তো ট্রোলিংয়ের কারণ। যদিও সারা জানান, যে অনুরাগীরা তাঁর কাজে হতাশ হয়েছেন, তাঁরাই সইফ-কন্যার কাজ দেখতে চান। তাই ভবিষ্যতে আরও শিখতে চান সারা।