শ্রীদেবীর আদরের মেয়ে খুশি কাপুর এবার ওটিটি-র গণ্ডি ছাড়িয়ে পা রাখতে চলেছেন বড়পর্দায়। মা-দিদির পথে হেঁটেই অভিনয়ের জগতে এসেছেন খুশি। বেদাং রায়নার পর এবার খুশির নায়ক আমির খানের সুদর্শন পুত্র জুনেইদ খান। আপতত নিজেদের আসন্ন ছবি 'লাভিয়াপা'র প্রচারে ব্যস্ত এই জুটি। বহুল প্রতীক্ষিত রম কম-এ খুশি ও জুনায়েদকে দেখা যাবে প্রেমে মশগুল এক রোম্যান্টিক জুটির ভূমিকায়, যাঁরা শীঘ্রই সাত পাক ঘুরতে চায়। তবে কাহিনিতে টুইস্ট আসবে যখন একদিনের জন্য তাদের ফোন বিনিময় করতে বাধ্য হবে।
আরও পড়ুন-‘শ্বাসকষ্টের কোনও সমস্যা নেই আমার, হাসপাতালে ভর্তির খবর ভুয়ো’, মুখ খুললেন মোনালি
ছবিটি মুক্তির আগে প্রোমোশনে ব্যস্ত দুজনে। মুম্বইয়ের নামী স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন এই দুই স্টার কিড। তবে পরীক্ষায় চিটিং করতে ছাড়েননি! সম্প্রতি খুশি ও জুনায়েদ ফাঁস করেছেন কীভাবে তাঁরা পরীক্ষায় নকল করতে, তাও আবার ধরা না পড়েই।
বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে আলাপচারিতায় খুশিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাঁরা কখনও পরীক্ষায় নকল করেছে কিনা, খুশি ফাঁস কন, ‘আমি পরীক্ষায় নকল করেছি, কিন্তু আমি ধরা পড়িনি’। জুনায়েদ স্বীকার করেছেন যে তিনিও এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। স্কুলে পড়ার সময়ের কথা স্মরণ করে খুশি বলেন, ‘আমি আমার উরুতে একটি আস্ত চিত্র এঁকেছিলাম। আর আমি জানি না কেন আমার মনে হয়েছিল বিজ্ঞান পরীক্ষায় নকল করার এটাই সবচেয়ে আদর্শ উপায়। পায়ে স্কেচ পেন দিয়ে আস্ত ফুলের মতো এঁকেছিলাম, তারপর লেবেল যোগ করেনি। এবং আমরা স্কার্ট পরতাম, তাই আমি কেবল স্কার্টটা টানতাম, ডায়াগ্রামটি দেখতাম আর সমস্তটা নকল করতাম’।
অন্যদিকে জুনায়েদের এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য একটি অনন্য কোড সিস্টেম ছিল। অভিনেতা ভাগ করে নিয়েছিলেন যে তাঁর এক বন্ধু ছিলেন যিনি তাঁর পিছনে বসতেন। জুনায়েদের বন্ধু পেছন থেকে পা টিপে টিপে উত্তর বুঝিয়ে দিত। তবে খুশি আর জুনায়েদ স্পষ্ট বলেন তাঁরা কোনওভাবেই পরীক্ষায় নকল করার প্রচার করছেন না! তবে স্কুলজীবনে তাঁরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গত বছর ২০২৪ সালে মহারাজের সঙ্গে অভিনয়ে অভিষেক হয় জুনেইদের। অন্যদিকে খুশি জোয়া আখতারের দ্য আর্চিস (২০২৩) দিয়ে চলচ্চিত্র জগত আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তবে দুটি সিনেমাই ওটিটি-তে মুক্তি পেয়েছিল। অবশেষে ৭ ফেব্রুয়ারি 'লাভইয়াপা' দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে এই দুই তারকার সন্তানের।