নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা জেনারেশনের কাছে লাকি আলি মানেই নস্টালজিয়া। ‘গোরি তেরি আঁখে কহে’, ‘ও সনম’-এর স্রষ্টা বলিউডকেও উপহার দিয়েছেন ‘কিউ চলতি হ্যায় পবন’, ‘এক পলকা জিনা’র মতো সুপারহিট গান। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থেকেছে শিরোনামে।
ব্যক্তিগত জীবনে বেজায় রঙিন মানুষ মেহমুদ পুত্র। এক বিয়ে কিংবা এক নারীতে তিনি সন্তুষ্ট নন। তাই তো জীবনে বারবার বিয়ে করেছেন, বিয়ে ভেঙেছেন। ৬৬ বছর বয়সে এসে চতুর্থবার বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করলেন লাকি আলি। সম্প্রতি দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই চতুর্থবার বিয়ে করার বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা।
লাকি আলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর আগামির স্বপ্ন কী? রাখঢাক না রেখে গায়ক বলেন, ‘আমার স্বপ্ন আবার বিয়ে করা।’ আর এই কথা শোনার পর থেকেই চলছে তবে চতুর্থবার বিয়ে করতে চলেছেন লাকি আলি?
লাকি আলির তিন প্রাক্তন স্ত্রীই বিদেশিনী। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা মেগান জেন ম্যাকলেরিকে বিয়ে করেন। লাকি আলির ‘সুনো’ অ্যালবামের সময় তাঁদের পরিচয়, প্রেম যার পরিণতি ছিল বিয়ে। তাঁদের দুই সন্তান তাউজ এবং তাসমিয়া। কিন্তু ভেঙে যায় সম্পর্ক।
এরপর ২০০০ সালে পার্সি কন্যা আনাহিতাকে বিয়ে করেন লাকি আলি। বিয়ের জন্য ধর্মে বদলে ইসলাম গ্রহণ করে আনাহিতা হন ইনায়া। তাঁদেরও দুই সন্তান সারা এবং রায়ান। কিন্ত এই বিয়েও টিকলো না।
এরপর ২০১০ সালে ব্রিটিশ মডেল কেট এলিজবেথ হাল্লামকে বিয়ে করেন লাকি আলি। বয়সে গায়কের চেয়ে ২৫ বছরের ছোট এই ব্রিটিশ সুন্দরী। তাঁদের দাম্পত্যের মেয়াদ ছিল ৮ বছর। ২০১৮ সালে ভাঙে এই বিয়ে। তাঁদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে দানি। কেন ভেঙেছিল এই বিয়ে? এলিজাবেথের কথায়, স্বামীর তিনবার বিয়েই নাকি কাল হয়েছিল তাঁদের দাম্পত্যের। তিনি জানিয়েছেন, তিনটে পরিবারের মধ্যে ভাগ হয়ে থাকেন লাকি আলি, সব সন্তানদের প্রতি তাঁর দায়িত্ব রয়েছে। সেটাই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দূরত্বের কারণ। একটা পরিবারে ফোকাসড থাকতে পারেননি লাকি আলি।
অতীতে প্রেম নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন লাকি আলি। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয় আমি একইসঙ্গে দুই নারীকে ভালোবাসতে পারি একইরকম আতিশয্য দিয়ে’। লাকি আলির প্রথম স্ত্রী এখন নিউজিল্যান্ডে থাকেন, দ্বিতীয় স্ত্রী মুম্বইতেই থাকেন। ডিভোর্সের পর নতুন করে সংসার পেতেছেন এলিজাবেথ। রেকর্ড প্রোডিউসার ডেভিড টিকলকে বিয়ে করেছেন তিনি।