তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা তুুমুল। আট থেকে আশি, সবার প্রিয় মদনদা। তাঁর রসিক মেজাজের তারিফ করেন সকলেই। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে একদম ‘Cool’ লুকে ধরা দিলেন তিনি। কালো রঙা টি-শার্ট আর সানগ্লাসে ৭০ ছুঁইছুঁই বিধায়ক। পাশে লাল সালোয়ার কামিজে হাসিমুখে ধরা দিলেন এক সুন্দরী।
মদন মিত্রর অনুগামী কিংবা তৃণমূল সমর্থকদের কাছে অতি পরিচিত মুখ তিনি। ফেসবুকের ক্যাপশনে তাঁর পরিচয়ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মদনবাবু। কিন্তু তারপরেও কিছু নেটিজেন অশালীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেনি। মদন মিত্রর এই মিষ্টি পারিবারিক ছবিতে যৌনগন্ধী কমেন্ট করতেও পিছপা হননি। যা দেখে চটে যান মদন মিত্রর ভক্তরা। একজন লেখেন, ‘নিজের মেয়ে হলে এই ধরণের কথা বলতে পারতেন?' অপর একজন লেখেন, ‘মুখ সামলে কথা বল’। আরেক মদন-ভক্ত লেখেন, ‘দাদা পরিচয়টা স্পষ্ট করেদিয়েছেন, তাতেও লোকজনের কটূক্তি করতে বাধছে না’।
ক্যাপশনে মদন মিত্র স্পষ্ট লিখেছেন, ‘আমার মেয়ে…’। যদিও এ কথা কারুর অজানা নয়, মদন মিত্রর কোনও কন্যা সন্তান নেই। আসলে লাল সালোয়ার পরা এই সুন্দরী মেঘনা মিত্র। তিনি মদন মিত্রের আদরের ছোট বউমা। তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। হ্যাঁ, শ্বশুরমশাইয়ের পথে হেঁটে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন মেঘনা। মদন মিত্র তাঁর শ্বশুর হওয়ার পাশাপাশি পথপ্রদর্শকও বটে।
কন্যাসময় মেঘনার প্রশংসায় হামেশাই পঞ্চমুখ মদন মিত্র। বিধায়কের ছোট ছেলে শুভরূপের স্ত্রী মেঘনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইলে চোখ রাখলে আপনি ভিরমি খেতে পারেন। ফ্যাশন আর স্টাইলের মামলায় টলি নায়িকাদের টেক্কা দেবেন মদন মিত্র পুত্রবধূ। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সখ্যতা মেঘনার। হীরালাল মজুমদার কলেজের পড়বার সময় ছাত্র পরিষদের অংশ মেঘনা। ২০১৭ সালে মদন পুত্র শুভরূপের সঙ্গে সংসার পাতেন মেঘনা, দেখতে দেখতে তাঁদের দাম্পত্যের বয়স ৬ পার করেছে। সংসার রাজনীতি দুটোই সমান তালে সামলাচ্ছেন মেঘনা মিত্র।