এবার নন্দিনীদির ভাতের হোটেলে গেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন নন্দিনী। তাঁর পাইস হোটেলের চর্চা চারদিকে। এমনকী, দিদি নম্বর ১-এও গৌঁছে গিয়েছেন নন্দিনী। আর এবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এল সোশ্যাল মিডিয়ার আরেক চর্চিত ব্যক্তিত্ব মদন মিত্র। নন্দিনীর হাতের রান্নাও খেয়ে দেখলেন ‘ওহ লাভলি’ বয় মদন। সঙ্গে নন্দিনীর হাতে তুলে দিলেন এক বড় অর্ডার।
খবর অনুসারে করোনা আর লকডাউনের সময় থেকেই এই ভাতের হোটেল চালাচ্ছেন নন্দিনী। তবে মাস দুই আগেই হঠাৎ জনপ্রিয়তা পান ফুড ব্লগারদের হাত ধরে। তবে খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে জড়ান বিতর্কেও। কেউ অভিযোগ তোলেন নন্দিনী ও তাঁর বাবা ভিডিয়ো করার অনুমতি দেয়নি। তো কেউ বলেন, নন্দিনীদির হোটেলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও খাবার মেলেনি। আরও পড়ুন: কাইজার-কারাগার দেখে বাংলাদেশি সিরিজের প্রেমে পড়েছেন? আসছে আরও ৮, ঘোষণা হইচই-এর
তবে মদন বড় সুযোগ এনেছিলেন নন্দিনীর জন্য। সেখানে উপস্থিত সকলের অনুরোধে পালং শাকের তরকারি খেয়ে দেখেন। আর তাতেই মুগ্ধ হন। বলে ওঠেন, ‘অসাধারণ, মনে হল বাড়ির খাবার খাচ্ছি।’ মদনই জানান, ‘বিধানসভা থেকে ফিরছিলাম। আগামীকাল আমার এলাকার একটা স্কুলের স্পোটর্স ডে আছে। ওখানের বাচ্চাদের লাঞ্চের ব্যবস্থা করার অনুরোধ এল। ভাবছিলাম কোথায় যাব এখন, তখনই আমাকে আমার সহযোগী ফেসবুকে নন্দিনীর এই পাইস হোটেলের বিষয়টি দেখায়। ওর মুখে সুখ্যাতি শুনে এখানে এসে দেখি এ তো এলাহী কাণ্ড।’ নন্দিনীকে ৩০০ প্লেট ভাত-মাংসের অর্ডার দিয়েছেন মদন মিত্র। মদন মিত্রর মতো এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের থেকে এমন বড় অর্ডার পেয়ে আপ্লুত নন্দিনীও। আরও পড়ুন: ‘এবার বায়োপিক আসবে’, রচনার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলল নন্দিনী, হল খুব ট্রোল
দিদি নম্বর ১-এ রচনা জানিয়েছিলেন, ২০টার বেশি প্লেট বিক্রি হত না। এখন সেখানে ৬০-৭০ প্লেট নিমেষে শেষ হয়ে যায়। সঙ্গে জানান, ছোটবেলায় তাঁদের পারিবারিক অবস্থা ঠিকঠাক ছিল। বাবার রবারের ব্যবসা। তাঁর দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। তিনিও ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়েছেন। নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। টাকার জন্য বাড়ি, মায়ের গয়না সব বিক্রি করে দিতে হয়। সেই সময় বাড়িতে চলা খারাপ পরিস্থিতি দেখে নন্দিনী নিজেও মানসিক ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েন। শরীরের একটা অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। তারপর অনেক কষ্টে সেরে ওঠেন। সেইসময় নন্দিনীর বাবা ডালহৌসিতে গিয়ে ২০০ টাকা রোজে চাকরি করছিলেন একটি খাবারের দোকানে। তিনিও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাইরে চাকরি নিয়ে চলে যান।
তারপর বাবা দোকান ভাড়া নিয়ে ভাতের হোটেল খোলেন। নন্দিনীর মা-বাবা মিলে তা চালাচ্ছিলেন। তবে হঠাৎই মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় দোকান বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়। এরপর তিনি চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন কলকাতায়। বাবার হোটেলে যোগ দেন। তারপরের গল্প তো ইতিহাস!
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup