এই বাংলারই মেয়ে তিনি। বলিউড গায়িকা মধুবন্তী বাগচীর বাড়ি উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে। তবে তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতাতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও এটাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেননি মধুবন্তী। গানই ছিল তাঁর ভালোবাসা। তাই চেয়েছিলেন গান নিয়েই বাকিটা পথ এগোতে।
তবে বাইরে থেকে দেখে যতটা সহজ মনে হয়, বিষয়টা কিন্তু মোটেও তত সহজ নয়। গানের দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা, জনপ্রিয়তা পাওয়া কিন্তু বেশ কঠিন, কিছুটা ভাগ্যের বিষয় বললেও হয়তবা ভুল হয় না। সম্প্রতি আলিপুর দুয়ারে শো করতে গিয়ে মধুবন্তী জানালেন, কীভাবে অরিজিৎ সিং-এর সঙ্গে গাওয়া একটা গান তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল।
ডুয়ার্স উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মধুবন্তী বাগচী। সেখানেই তাঁর শ্রোতা-দর্শকদের সামনে তাঁর জীবন বদলে দেওয়া সেই গান 'শায়াদ' গেয়ে শোনান মধুবন্তী। সকলের সামনে মধুবন্তী বলেন, ‘গান শিখেছি, বহু বছর ধরে, সেই সঙ্গে পড়াশোনাও করেছি। একটা সময়ের পর গানবাজনাই আমাকে বেছে নিয়েছিল। মানে আমি গানবাজাকে বেছে নেওয়ার আগে এটাই আমাকে বেছেছিল। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স করার পরও কীসের একখানা আমোঘ টানে আমি চলে গেলাম মুম্বইতে। কাউকে চিনি না, কিচ্ছু জানি না। চলে গেলাম…’।
আরও পড়ুন-সামনে এল উইনডোজ প্রোডাকশনের পুজোর ছবির নাম, 'রঘুডাকাত'-এর সঙ্গে পাঙ্গা নিতে আসছে কে?
আরও পড়ুন-‘গানের জন্য বিভিন্ন অডিশনে দিতে যেতাম, সেই ভাড়াটা বহন করাও তখন কঠিন ছিল’, অকপট অঙ্কিতা
আমার মনে হয়, এই শ্রোতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁদের নিজস্ব একটা প্যাশান রয়েছে। আপনি যখনই নিজের প্যাশানের কথা বলতে যাবেন, হয়ত ৫টা লোক বলবে, এটার কোনও দরকার নেই, বা এটা হবে না। এই পেশাটা insecure (অনিশ্চিত),unsafe (নিরাপদ নয়) আরও নানান কিছু। এবার বিষয়টা হল আপনি সেই কথাগুলো শুনবেন কিনা! যেমন জেদ করে আমি তো শুনিনি। জেদ করে বম্বে গেছে, তারপর প্রায় একটা অন্ধকারের মধ্যে পড়ে গেছি। কী হবে জানি না! এমন একটা সময় আমার কাছে একটা ফোন আসে। একটা গানের জন্য। তখনও জানতাম না কেন গাইছি! গানটা রিলিশ হওয়ার পর বুঝলাম লাভ আজকাল ২ ছবির জন্য অরিজিৎ সিং-এর সঙ্গে শায়দ-গানটা গেয়েছি, সেটাই রিলিশ হয়েছে। তো আলিপুরদুয়ারবাসীর জন্য সেই গানটা আমি গাইব, তবে বসে নয় দাঁড়িয়ে গাইব।'
অরিজিতের সঙ্গে গাওা ‘শায়দ’ গানটা তাঁর জীবন বদলে দেয়। তবে এরপর অবশ্য বলিউডে বহু গান গেয়ে ফেলেছেন মধুবন্তী। পরবর্তী সময়ে ‘লক্ষ্মী’ 'হাম দো, হামারে দো', ‘গুড লাক জেরি’, 'হীরামান্ডি' ছবি সিরিজে গান গেয়ে ফলেছেন মধুবন্তী। জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। তাই এখন তাঁর গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন সফল।