একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন অভিনত্রী মধুমিতা সরকার। দুঘর্টনাস্থল থেকেই ফেসবুক লাইভে অভিনেত্রী জানালেন, কী হয়েছে তাঁর সঙ্গে। শুনে রীতিমতো গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, অভিনেত্রীদের ভক্তদের।
ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলেন অভিনেত্রী। ছোটবেলা থেকেই শিব-ভক্ত তিনি। কদিন আগে দেওঘরেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অভিনেত্রী লাইভে এসে জানালেন, তাঁর গাড়িতে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে।
জানা যাচ্ছে, গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন মধুমিতা। একটা লরি এসে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়িতে। অনেক খারাপ কিছু হতে পারত তাঁর সঙ্গে। তবে সেসব হয়নি। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। দুর্ঘটনার পরও মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। ইশ্বরকে ধন্য়বাদ জানান, এভাবে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
মধুমিতাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘অনেক বাজে কিছু হতে পারত। মহাদেবের কৃপায় তা হয়নি। আমি একেবারে সুস্থ রয়েছি।’
এই দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অভিনেত্রীর গাড়ি। জানা যাচ্ছে, যেই গাড়িটি ধাক্কা মেরেছে অভিনেত্রীদের, তা বিদ্যুৎবন্টন সংস্থার একটি গাড়ি ছিল। ঘটনার পরই ওই গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁকে আটকানো হয়। অভিনেত্রী নিজেও গাড়ি থেকে নেমে, ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে।
কদিন আগেই ট্রোল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মধুমিতা। ব্যাঙ্গাত্ম ভিডিয়ো শেয়ার করে, নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ বের করেছিলেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, পুজো রা নিয়ে বারবার কটাক্ষে পড়েন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি ডিভোর্সি, সেই জন্য কেন কোনও ডিভোর্সি মেয়ে যজ্ঞ করছে, এই নিয়ে হয় ট্রোল। তার মানে আমি পুজোও করতে পারব না। আর যদি পুজো করি, তুমি যেহেতু অভিনেতা, তাই সবই লোক দেখানো।’
তারও আগে, আরজি করের এই ইস্যু চলাকালীনই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন মধুমিতা। সেখানে দেখা যায়, নিশুতি রাতের রাস্তা একা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। পরনে সাদা সালোয়ার। কপালে তিলক। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন রাত দুটো। আর এই সময় আমি নির্জন জায়গায় একা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। কেউ কিন্তু আমার দিকে ঘুরে তাকাচ্ছে না। মানে লোক জন আছে। তাদের কেউ কোনও মেয়েকে অ্যাটাক করছে না। পিছন থেকে গাড়ি আসছে দেখতে পাচ্ছ? আমার দিকে কিন্তু কেউ তাকাচ্ছেও না। এটাই তো চাই আমরা মেয়েরা। তাই তো?’ যদিও মধুমিতার এই পোস্ট কলকাতার ছিল না, ছিল দেওঘরের। সেখানেই নেট-নাগরিকরা ট্রোল করেছিল, তাঁর সঙ্গে কেউ না থাকলে, ভিডিয়োটা কে করে দিয়েছে।