তাঁর এক হাসিতেই মুগ্ধ আসমুদ্রহিমাচল। তাঁর লাস্যে কত যে অনুরাগীর হৃদয় 'ধক ধক' করে ওঠে, তার ইয়ত্তা নেই। এ হেন মাধুরী দীক্ষিত এক সময়ে বলিউড শাসন করেছেন। বলা হত, তিনি যাতেই হাত দেবেন, সোনা ফলবে। কিন্তু জানেন কি, সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে?
১৯৮৪ সালে 'অবোধ' দিয়ে বলিউডে হাতেখড়ি হয় মাধুরীর। এর পর একের পর এক বাণিজ্যিক ছবি করে ইন্ডাস্ট্রির নিজের নাম সামিল করেন প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায়। ১৯৯৯ সালে পেশায় চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন মাধুরী। তার কয়েক বছরের মধ্যে দুই সন্তানের জন্ম। সেই সময়ে কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে আমেরিকায় ছিলেন অভিনেত্রী। সময়ে দিচ্ছিলেন পরিবার এবং দুই সন্তানকে। এর পর ২০০৭-এ ফের প্রত্যাবর্তন। 'আজা নাচ লে'-তে মুখ্য চরিত্রে দেখা যায় মাধুরীকে।
কাজ এবং পরিবার, একই সঙ্গে দুই সামলেছেন মাধুরী। বজায় রেখেছেন ভারসাম্য। তবু নানা সময়ে অভিনয় ছেড়ে শুধু সংসারে মনোযোগ দেওয়ার 'পরামর্শ' ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এই ধরনের জিনিস ঘটেই থাকে। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, মা হওয়ার পরেও কেন নৃত্যচর্চা করছি। বাড়িতে বসে সকলের দেখাশোনা করার উপদেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হল, নিজেদের কাজ সামলেও আমরা এগুলো করি। পরিবারের খেয়াল রাখি, বাচ্চাদের দেখাশোনা করি।'
(আরও পড়ুন: মাধুরীর সঙ্গে চুটিয়ে নাচ! ফের ভাইরাল তানজানিয়ার কিলি পল, মাতল নেটিজেনরাও)
মাধুরী মনে করেন, গৃহবধূরা অনেক সময়ে যথার্থ সম্মান পান না। তাঁদেরও যে নিজস্ব পরিচয় আছে, তা ভুলে যান অনেকেই। তাঁর কথায়, 'অনেক ক্ষেত্রে গৃহবধূদের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয় না। মনে করে নেওয়া হয়, তাঁরা এমনিই সব কাজ করবেন। কিন্তু কেন? তাঁদেরও শুধু মাত্র নিজেদের ভালো লাগার জন্য কোনও কাজ করার অধিকার আছে।'