আরজি করের ঘটনা নিয়ে রবিবার ফের তিলোত্তমার প্রতিবাদী রূপ দেখল গোটা বিশ্ব। এদিন হাজার হাজার মানুষ যোগ দিলেন মিছিলে, এক সুরে বললেন- ‘জাস্টিস অফ আরজি কর’। ‘আমরা তিলোত্তমা’র উদ্যোগে আয়োজিত কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে যোন দেন নাট্যকর্মী মধুরিমা গোস্বামীও।
অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের স্ত্রী মধুরিমা। তবে আরজি কর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা সংবাদমাধ্যম, সর্বত্রই নীরবতা বজায় রেখেছেন অনির্বাণ। পথে নেমেও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। সেই নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়েননি অভিনেতা। আসেনি সাফাইও। মধুরিমা জানালেন, কাউকে দেখে নয় এই প্রতিবাদ তাঁর নিজের।
মিছিলে কেন দেখা গেল না অনির্বাণকে। স্ত্রী তথা মূকাভিনয় শিল্পী মধুরিমা বললেন, ‘আমি আসলে আমার লড়াই লড়তে নেমেছি। আমি যাঁদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছি, তাঁদের সঙ্গে মিছিলে এসেছি। তবে প্রত্যেকেরই প্রতিবাদের ভিন্ন ভাষা থাকে। আমি রাস্তায় নেমেছি বলেই সকলকে রাস্তায় নামতে হবে এমন নয়। আমি কাউকে দেখে রাস্তায় নামিনি’। অনির্বাণের প্রতিবাদের ভাষা সম্পর্কে তাঁর জানা নেই, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান মধুরিমা। আপতত চিকিৎসক তরুণীকে বিচার পাইয়ে দেওয়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
২৩ দিন অতিক্রান্ত, অনেকেই আশা হারাচ্ছেন। তবে হার মানতে না-রাজ মধুরিমা। পথে যখন নেমেছেন তখন রাস্তা ছাড়তে না-রাজ। বললেন, ‘আমরা বিচার ছিনিয়ে নেবই। তার জন্য যত দিন সময় লাগবে আমরা রাস্তায় থাকব’।
আর জি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ জানানোর জন্য শিক্ষা দফতর থেকে হাওড়ার তিনটে স্কুলকে শো-কজ নোটিশ পাঠানোর খবর নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন মধুরিমা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এই ঘটনা আমাদের খুব অদ্ভুত লেগেছে। আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি সংশ্লিষ্ট দফতরে।’ চিঠি গিয়েছে মাননীয় হোম সেক্রেটারি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল, মাননীয় চিফ সেক্রেটারি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু মহাশয় এবং মাননীয় শ্রী বিনোদ কুমার মহাশয়ের কাছেও।