পুজোর আর তো একটা মাস… চারিদিকে এখন শিউলির গন্ধ, কাশ ফুল। নতুন জামাজুতো কেনার হিরিক। বাঙালির কাছে বরাবরই তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব এই দুর্গাপুজো। তবে পুজোর চারদিনের আগে আসে মহালয়া। ইতিমধ্যেই স্টার জলসা আর জি বাংলার তরফে থেকে মহালয়ার প্রোমো মুক্তি পেয়েছিল। এবার মহালয়ার ঝলক শেয়ার করে নিল কালার্স বাংলা। যেখানে দেবী দুর্গা রূপে দেখা গেল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
এইবার কালার্স বাংলা এনেছে বড় চমক। প্রথমবার মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এত বড় কেরিয়ারে এই প্রথম সুযোগ এল অভিনেত্রীর কাছে। প্রোমো শেয়ার করে চ্যানেলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘মহালয়ার ভোরে এবার লাগুক নতুনত্বের ছোঁয়া! দেখুন আদ্যাশক্তি মহামায়ার দশ রূপের অজানা কাহিনী দেবী দশমহাবিদ্যা’। মহামায়ার দশ অবতারের অজানা কাহিনী দেখানো হবে এই অনুষ্ঠানে। ঋতুপর্ণা ছাড়াও থাকছেন টিভির পরিচিত মুখ দেবলীনা দত্ত (দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী), রিমঝিম মিত্র (দেবী ভৈরবী), দেবাদৃতা বসু (দেবী চিন্নামস্তা), সংঘমিত্রা তালুকদার (মা তারা), সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায় (দেবী ধুমাবতী)। বহুদিন পর ছোট পরদায় দেখা মিলবে শ্রুতি দাস (দেবী কালী)। কালার্স বাংলার মহালয়া দিয়ে ফিরছেন ক্যানসার-জয়ী ঐন্দ্রিলা শর্মাও (দেবী মাতঙ্গী)। আরও পড়ুন: আপনি কি জানেন হৃতিক রোশন আংশিক বাঙালি? বাবার দিকের এই সদস্য ছিলেন বাংলার মানুষ
তবে মহালয়ার এই প্রোমো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সোশ্যালে। এক নেট-নাগরিক লিখলেন, ‘ঋতুপর্ণা ম্যামকে দুর্গা রূপে অনেকদিন আগেই দেখানো উচিত ছিল। সত্যিই উনি দুর্গা হওয়ার যোগ্য, অন্তত একবার।’ অপরজন লিখলেন, ‘খুব একটা খারাপ লাগছে না যতটা ভাবা হয়েছিল। আশা করা যায় ভালোই হবে।’তবে প্রশংসার পাশাপাশি জুটল গালমন্দও। এক জনৈক লিখলেন, ‘কী হয়েছে এটা, মহালয়া নাকি কমেডি। জঘন্য একেবারে।’ আরও পড়ুন: ধর্ম আলাদা হলে কি মানুষ আরও ভালোবাসত? মিডিয়ার প্রশ্নে শাহরুখ অবাক হয়ে বললেন…
অন্য দিকে, জি বাংলায় দেবী দুর্গা হিসেবে দেখা মিলবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই বছর স্টার জলসার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হচ্ছেন ‘এক্কা দোক্কা’র রাধিকা, মানে অভিনেত্রী সোনামণি সাহা। পার্বতী হচ্ছেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়, স্বস্তিকা ঘোষ রয়েছেন ভয়ঙ্করী চামুণ্ডার রূপে। খুব সম্ভবত দশভূজার মানবী রূপে দেখা যাবে শোলাঙ্কি রায়কে।