১৯৯৮ সালে 'গুলাম' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন আমির খান এবং মহেশ ভাট। এই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার পরই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। মহেশ ভাট একটি পুরানো সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, আমিরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর মোটেই ভালো ছিল না। মহেশ আরও বলেন, পরিপূর্ণতা একটি রোগ।
উল্লেখ্য, আমির খান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ হিসাবে পরিচিত। 'গুলাম' ছাড়াও আমির এবং মহেশ ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'দিল হ্যায় কি মানতা না' এবং ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পোশাকের রঙে মিল! জন্মদিনে বন্ধু-মেন্টর কাঞ্চনের হাতে-হাত রেখে কেক কাটলেন শ্রীময়ী
WildfilmsIndia-কে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মহেশ ভাট বলেছিলেন, কেন তাঁর এবং আমিরের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল? তিনি বলেছিলেন, 'ওর কাজ করার ধরনটা একেবারেই আলাদা। ও আমার সঙ্গে 'গুলাম' ছবিতে কাজ করেছে। আমার কাছে মোটেই ভালো অভিজ্ঞতা ছিলনা। একজন মানুষ যখন তার মহানুভবতার ভারে চাপা পড়ে যায়, তখন তার আশেপাশের মানুষকেও সেই ভার বহন করতে হয়।'
আরও পড়ুন: ডিপ নেকলাইন, দুধ সাদা ওয়ান পিসে ধরা দিলেন সুশান্তের ছবির নায়িকার সঞ্জনা সাংঘি
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা খুবই কঠিন। বিশেষ করে যখন আপনি একটি নির্দিষ্ট বাজেটে ছবি তৈরি করেন। আপনি সেরার জন্য চেষ্টা করতে পারেন, তবে পরিপূর্ণতার জন্য নয়। পরিপূর্ণতা একটি রোগ। আপনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো হতে পারেন। এখানে আমরা যে কোন বৈজ্ঞানিক বা আইনি দলিলের কথা বলছি তা নয়। আমি অনুভব করেছি, আমরা একে অপরের প্রতি অমনোযোগী, তাই আমাদের এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া উচিত নয়।’
১৯৭৪ সালে ‘মনজিলে অউপ ভি হ্যায়’ ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে বলিউডে ডেবিউ করেন মহেশ ভাট। পরবর্তীতে তিনি 'আর্থ' (১৯৮২), 'সরাংশ'(১৯৯৪), 'আশিকি' (১৯৯০), 'সড়ক' (১৯৯১) এবং 'জখম' (১৯৯৯)-এর মতো প্রশংসনীয় ও সফল ছবি পরিচালনা করেছেন। একজন চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজকও মহেশ ভাট।