হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে মহেশ ভাটের, শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজক পুত্র রাহুল ভাট। শনিবার সকালে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘অর্থ’ ছবির পরিচালক জানিয়েছেন, ‘অস্ত্রোপচার শব্দটি টেকনিক্যালি ঠিক নয়।’
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহেশ ভাট জানিয়েছেন, ‘অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ছুড়ি কাঁচির ব্যবহার হয়। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি একটি রক্ত না ঝরিয়ে সাধারণ প্রক্রিয়া। আইসিইউতে মোটামুটি আধ ঘণ্টা থাকতেই হয়েছে। এটা হওয়ার একদিন পরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়’।
এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক দলের অনেক প্রশংসা করে মহেশ ভাট বলেছেন, ‘আমি এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালের সেরা চিকিৎস সেরা টিমের হাতে ছিলাম। প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি থেকে। ১৮ জানুয়ারি বাড়িতে ছিলাম আমি। আমি বেঁচে আছি এবং ফাটিয়ে আছি। আমি আমার পরবর্তী বইয়ের কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: দালের মেহেন্দির গান শুনে দুঃখ ভোলেন প্রিন্স হ্যারি! ভাইরাল ছবি
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'প্রক্রিয়াটি ১৬ জানুয়ারি পরিকল্পনা করা হয়েছিল। রুটিন চেক-আপের সময় চিকিৎসকেরা 'লাল পতাকা' দেখিয়েছিল আমাকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেহেতু আমি সুস্থ রয়েছি তাই আগেভাগে পদক্ষেপ নিয়ে মোকাবিলা করাটা জরুরি'।
পরিচালক জানিয়েছেন, 'আমার কোনো উপসর্গ ছিল না। তাই নিজে থেকেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার বয়স ৭৪, বয়সের সঙ্গে ধমনীর 'ক্যালসিফিকেশন' হয়। এই অপরিবর্তিত সত্যিটাকে মেনে নেওয়াই ভালো। বার্ধক্য ঐচ্ছিক নয় এটা আসবেই'।
উল্লেখ্য, রুটিন চেক-আপের জন্য গিয়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজক। সেই সময় চিকিৎসক পরামর্শ দেন তাঁকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে হবে। মহেশের ছেলে রাহুল ভাট বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপডেট দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবাকে এই সপ্তাহের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এখন বাড়ি ফিরেছেন মহেশ ভাট এবং অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রাহুল ভাট জানিয়েছিলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাকই হয়েছে। তিনি এখন ঠিক আছেন এবং বাড়ি ফিরেছেন। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না। হাসপাতালে খুব বেশি লোককে প্রবেশ করার অনুমতি ছিলনা'। এবার নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজেই জানালেন মহেশ ভাট।
গত ২০ সেপ্টেম্বর, ৭৪ বছরে পা রেখেছেন পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট। ১৯৭৪ সালে ‘মনজিলে অউপ ভি হ্যায়’ ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি 'আর্থ' (১৯৮২), 'সরাংশ'(১৯৯৪), 'আশিকি' (১৯৯০), 'সড়ক' (১৯৯১) এবং 'জখম' (১৯৯৯)-এর মতো প্রশংসনীয় ও সফল ছবি পরিচালনা করেছেন। একজন চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজকও তিনি।