মহেশ ভাটকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মুফট ব্যাক্তিত্ব হিসেবে গন্য করা হয়। সমাজ, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত বিষয়, কোবনও কিছু নিয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না তিনি। সম্প্রতি এই চলচ্চিত্র নির্মাতা অনলাই ট্রোল নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহেশ জানিয়েছেন, তিনি ট্রোলকে ভয় পান না।
অনলাইন ট্রোলকে ভয় পান না মহেশ ভাট
মিডিয়ায় তাঁর ও তাঁর সন্তানদের প্রতি ঘৃণা নিয়ে নীরবতার কারণ জানতে চাওয়া হলে আলিয়ার বাবা বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি লাইন আছে, ‘নিষ্ক্রিয়তাই কর্ম’। আমি যখন এই নিয়ে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন এটাই আমার অ্যাকশন। সুতরাং, সেখানে ট্রোলার বা আমার প্রতিপক্ষরা জানে যে আমি শক্তি থেকে এসেছি, কাপুরুষতা থেকে নয়। আমি ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ কোনওদিনই ছিলাম না।’
‘আমার ওদের (নিজের সন্তানদের) রক্ষা করার কিছু নেই! রক্ষা করার কী আছে? আমি যেমন নিজের যত্ন নিয়েছি তেমনি আমার বাচ্চারা নিজেরাই নিজেদের যত্ন নেবে। আর যদি প্রয়োজন হয়, আমি একজন ফায়ারওয়াল। তোমাকে আগে আমাকে টপকাতে হবে, ওদের কাছে পৌঁছতে। বর্তমানে বাস্তব জগতের চেয়ে ভার্চুয়াল জগৎ বেশি মূল্যবান হয়ে উঠছে বলে মনে হয়। তবে আমার কাছে নয়। আমি মনে করি ক্যামেরার সামনে কান্নাকাটি করার থেকে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ফিল্ডে নেমে কিছু করা।’
মহেশ ভাটের বলিউড কেরিয়ার
মহেশ মঞ্জিলিন অউর ভি হ্যায় দিয়ে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। পরে 'অর্থ', 'সারাংশ', 'নাম', 'ড্যাডি', 'আশিকি', 'দিল হ্যায় কি মানতা নেহি' এবং 'হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে'-র মতো সিনেমা দিয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি জখমের জন্য সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছিলেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা পরে রাজ, মার্ডার, জহের, কালযুগ, গ্যাংস্টার, ওহ লামহে, জান্নত, রাজ - দ্য মিস্ট্রি কন্টিনিউস, মার্ডার ২, জন্নত ২, রাজ ৩ এবং আশিকি ২-এর মতো বাণিজ্যিক হিট সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন। প্রযোজক হিসেবে নির্মাতার শেষ ছবি ছিল বরুণ মিত্র-রিয়া চক্রবর্তী অভিনীত 'জালেবি'।
তবে পরিচালক হিসেবে ফেরার ইচ্ছে নেই বলেই জানান মহেশ এই সাক্ষাৎকারে। বলেন, এখন সিনেমা বানানোর জন্য তিনি অনেক সেকেলে। নিজেকে 'বিলুপ্তপ্রায় আগ্নেয়গিরি' বলে অভিহিত করে আরও বলেন, ‘আমি আর পরিচালনা করব না। আমি যেটা সবচেয়ে ভালো করি, সেটা হলো মেন্টরিং করা।’
মহেশের জীবনের ‘সবচেয়ে বড়’ বিতর্ক
পরিচালক বাবা মহেশের হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা রাখেন তাঁর বড় মেয়ে পূজা। নিজের মেয়ে সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন মহেশ। অভিনয় জগতে আসার পর একটি ম্যাগাজিনের কভার শ্যুট করতে গিয়ে কন্যা পূজাকে ঠোঁঠে চুমু খেয়েছলেন বাবা মহেশ। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেছিলেন, ‘যদি পূজা আমার মেয়ে না হত, তাহলে আমি ওকেই বিয়ে করতাম।’ এখনও এই নিয়ে ট্রোল হতে হয় তাঁকে।