বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না ভাট পরিবারের। এবার মহেশ ভাটের পরিবারে বোনে-বোনে কোন্দল প্রকাশ্যে। দিদি পূজা ভাটের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিনেত্রী স্মাইলি সুরি। কলিযুগ ছবির সুবাদে চর্চায় উঠে এসেছিলেন স্মাইলি। কুণাল খেমুর সঙ্গে ভাট ক্যাম্পের ছবি দিয়েই বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় তাঁর।
এরপর আচমকাই রুপোলি পর্দা থেকে দূরে সরে যান স্মাইলি সুরি। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিনেমায় তার অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে বিস্ফোরক মোহিত সুরির বোন। সম্পর্কে মহেশ ভাট স্মাইলির মামা হন। অভিনেত্রীর দাবি কলিযুগ (২০০৫) এর পরে মামাতো দিদি পূজা ভাটের কারণে তাকে আর কোনও সিনেমার অফার দেননি মহেশ ভাট। স্মাইলি আরও জানান, পূজা তাকে তার প্রথম সিনেমা 'হলিডে' থেকে বাদ দিয়েছিলেন।
কাজ না পাওয়ার বেদনা, না খেয়েও কেটেছে দিন
স্মাইলি তার জীবনের কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, 'পূজা আমাকে তার প্রথম ছবি হলিডে থেকে বাদ দিয়েছিল। আমি খুশি যে আমি ছবিটি থেকে বাদ পড়েছি কারণ আমি কলিযুগে কাজ করতে পেরেছি, যা হিট হয়েছিল। আমি অনেক লজ্জা এবং হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই সময় পূজা আমাকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতেন। 'হলিডে'র সেট থেকে ফেরার পর নিজেকে একটা ঘরে আটকে রেখেছিলাম। সেই সময় ভাট সাহেব (মহেশ ভাট) আমাকে বলেছিলেন যে আমি কলিযুগ করব। আমার মনে হয় কলিযুগের পর ভাট সাহেব আমাকে কোনও ছবি দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারেননি কারণ তাঁকে তাঁর মেয়ের কথা শুনতে হয়েছিল, এবং আমি তাঁকে দোষ দিচ্ছি না'।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে হলিডে থেকে বাদ দেওয়াটা পূজার সিদ্ধান্ত ছিল। আমি কোরিওগ্রাফার সন্দীপ সোপারকারের সাথে কাজ করেছি। আমরা রিহার্সাল করেছি। …তবে আমি বলব যে ছয় মাস ধরে ওই ছবিতে (হলিডে) কাজ করতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি। অনেক কিছু ঘটেছে এবং এটি একটি বেদনাদায়ক সময় ছিল, তাই আমি এটি সম্পর্কে কথা বলতে চাই না।’
আলিয়া ভাট, পূজা ভাট, ইমরান হাশমি তাঁর তুতো ভাইবোন। স্মাইলির নিজের দাদা মোহিত সুরি বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক। তবুও নিজেকে আউটসাইডার বলেই ভাবেন স্মাইলি। ভাট পরিবারের সঙ্গে কোনওদিনই সুসম্পর্ক ছিল না, কোনওদিন তিনি ভাট পরিবারের অংশ হতে পারেননি বলে জানান স্মাইলি।
সিঙ্গাপুরের থাকতে বিদেশিদের পোল ডান্সিং-এর তালিম দিতেন স্মাইলি। একটি পোলের দাম ১০০০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৩ হাজার টাকা। এর জন্য অর্ধেক দিন না খেয়ে কেটেছে স্মাইলির। কোভিডের সময় চরম আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছেন অভিনেত্রী। একটা সময়ে ব্যাঙ্কে মাত্র ২ টাকা পড়েছিল অভিনেত্রীর। পোষ্যদের খাবার জোটাতে হিমসিম খেতেন স্মাইলি, তাই অনেক সময়ই একটা কলা আর কফি কেটেছে দিন। স্মাইলির বেহাল দশা জেনে দাদা মোহিত তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিল বলে জানান অভিনেত্রী।
কলিযুগ-এর পরে ২০১২ সাল পর্যন্ত কয়েকটি হিন্দি ছবিতে কাজ করেছিলেন স্মাইলি এবং পরে কম প্রোফাইল বজায় রেখেছিলেন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে বিনীত বাঙ্গেরার সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন স্মাইলি। পরে দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।