১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার আচমকাই এসেছিল খারাপ খবরটা। নিজের আবাসনেরই ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় মালাইকা অরোরার বাবার। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। তবে অবশেষে বাবার মৃত্যুর বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী, মডেল মালাইকা অরোরা।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিবৃতি দিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন মালাইকা অরোরা?
মালাইকা অরোরা লেখেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় বাবা অনিল মেহতা আর নেই। যিনি ছিলেন একজন কোমল আত্মা, একজন নিবেদিত দাদু, একজন প্রেমময় স্বামী এবং আমাদের সেরা বন্ধু। আমার পরিবার এই ক্ষতিতে গভীরভাবে শোকাহত এবং আমরা এই কঠিন সময়ে মিডিয়া এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আপনারা এটা বুঝেছেন, পাশে আছেন, সেজন্য ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জয়েস, মালাইকা, অমৃতা শাকিল, আরহান, আজান, রায়ান, ক্যাসপার, অ্যাক্সেল, ডাফি ও বাডি-র তরফে।’
বুধবার সকালে সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে মালাইকা অরোরার বাবার মৃত্যুর খবর মেলে। এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বান্দ্রা এলাকার একটা বাড়ির ছ'তলা থেকে ঝাঁপ দেন অনিল মেহতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু সেবিষয়টি স্পষ্ট জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, 'এটা সত্যি যে আজ (বুধবার) সকালে মালাইকার বাবা মারা গিয়েছেন। তিনি আত্মহত্যা করেননি, এটা একটি দুর্ঘটনা। তাঁরা সবাই হতবাক কারণ তাঁর নির্দিষ্ট কোনও অসুস্থতা ছিল না।মুম্বই পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘আমরা সবকিছুর তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে, আমরা আরও তদন্ত করছি।’
বহু আগে এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেছিলেন, তাঁর বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, তখনই তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপরই মালাইকা তাঁর মা ও বোন অমৃতার সঙ্গে চেম্বুরে চলে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত মালাইকার মা জয়েস পলিকার্প একজন মালয়ালি ক্রিশ্চান ছিলেন। মালাইকার বাবা ছিলেন পঞ্জাবের সীমান্তবর্তী শহর ফাজিলকার একজন পাঞ্জাবি হিন্দু, যিনি ভারতীয় মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করতেন।