করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হতে 'সুন্দরীর তাজ' মাথা থেকে খুলে স্টেথোস্কোপ নিয়ে রোগীর প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছেন প্রবাসী বাঙালি কন্যা ভাষা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ধন্য ধন্য করছে নেটিজেনরা। এর মাঝেই রিল লাইফে নয় বাস্তবেই লকডাউনের জেরে পেশা বদলে ফেললেন এই অভিনেতা। দক্ষিণী ছবির পরিচিত মুখ ইন্দ্রান্স। মঙ্গলবার তিরুবন্তপুরমের সেন্ট্রাল জেলে গিয়ে মাস্ক তৈরি করলেন এই জনপ্রিয় কমেডিয়ান। মাত্র ন মিনিটেই সংশোধনাগারের কয়েদিদের করোনা মোকাবিলার জন্য মাস্ক তৈরি করা শেখালেন তিনি। তবে পুরো কাজটাই হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। কেরালা সরকারে করোনা বিরোধী প্রচার অভিযানের অংশ হিসাবে এই উদ্যোগে শরিক হন অভিনেতা। সেলাইয়ের অ-আ-ক-খ শেখালেন ইন্দ্রান্স। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়।
দর্জি হিসাবেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন মালায়ালি ছবির এই কৌতুক অভিনেতা। প্রয়োজনের সময়ে তাই যে কোনও ব্যক্তিকেই মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে তৈরি তিনি। তাঁর কথায়, যে কেউ মাস্ক তৈরি করতে পারবে। এটা কোনও রকেট সায়েন্স নয়। তাই ওষুধের দোকানে গিয়ে ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। এর জন্য কেবল সেলাইয়ের সাধারণ জ্ঞানটা দরকার।
রূপোলি সফর শুরু করবার আগে মালায়ালম ছবিতে কস্টিউম ডিজাইনার হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। পোশাক তৈরি করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও অনেক পুরস্কার জেতেন তিনি। মাটির মানুষ ইন্দ্রান্স, শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকতেই ভালোবাসেন তিনি। তাই সরকারের অনুরোধে এক মিনিটও চিন্তা ভাবনা না করে এই উদ্যোগে যোগ দেন তিনি। সেলাই তাঁর প্রথম রুজিরুটির জোগানের মাধ্যম ছিল। সেই কাজ করতে লজ্জা কিসের? তাঁর কথায়, 'এটা হল এমন একটা কাজ যেখানে ভিডিয়ো হবে কিন্তু অভিনয়ের কোনও দরকার নেই। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সবার উচিত মাস্ক ব্যবহার করা'।
আলোরুক্কাম ছবির জন্য ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের তরফে সেরা অভিনেতার পুকস্কার পান ৬৩ বছরের এই শিল্পী।সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন ইন্দ্রান্স।