যৌন হেনস্থার অভিযোগে মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের লিখিত অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণের এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এবার পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে দায়ের হল দ্বিতীয় অভিযোগ। আর এবার কোনও অভিনেত্রী নন, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তরুণ অভিনেতা। ইতিমধ্যেই কেরালা সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ওই তরণ অভিনেতার বয়ান রেকর্ড করেছেন।
সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, তরুণ অভিনেতার অভিযোগ, পরিচালক রঞ্জিত ওই তরুণ অভিনেতাকে বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে অডিশনের জন্য ডেকেছিলেন। সেখানেই পরিচালক তাঁকে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন, কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে পরিচালক রঞ্জিত যৌন নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ। এমনকি তাঁর নগ্ন ছবি তুলে রঞ্জিত বলেছিলেন, সেই ছবি মালায়ালম ইন্ডাস্ট্রিরই এক অভিনেত্রীর কাছে তিনি পাঠিয়েছেন। নির্যাতিত অভিনেতার দাবি, শুরুতে তিনি ভেবেছিলেন, সবই হয়ত অডিশনের অংশ। এরপরদিন সকালে তাঁকে টাকারও প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণ অভিনেতা।
ওই তরুণ অভিনেতা কেরালা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। গঠিত তদন্তকারী দল অর্থাৎ সিট অভিনেতার বয়ান খতিয়ে দেখছে। যে তদন্তকারী দলে মহিলা পুলিশের ৪ আধিকারিকও রয়েছেন।
এর আগে পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। প্রসঙ্গত, শ্রীলেখার অভিযোগ ছিল, ২০০৯ সালে এক মালায়ালম ছবির জন্য অডিশন দেওয়ার সময় তাঁকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। শ্রীলেখা জানান, তিনি সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন, তখনই রঞ্জিত তাঁকে তাঁর শোবার ঘরের দিতে ডেকে নিয়ে যান ছবির গল্প বলার জন্য। শ্রীলেখার কথায়, তিনি ভেবেছিলেন ভিড় এড়িয়ে কথা বলার জন্যই হয়ত রঞ্জিত তাঁকে ডাকছেন। এরপর তিনি বারান্দায় দাঁড়িয়ে তখনও ফোনে কথা বলছেন, হঠাৎই পরিচালক তাঁর চুরি নিয়ে খেলতে শুরু করেন। শ্রীলেখার কথায়, মহিলারা পুরুষের স্পর্শের অর্থ বোঝেন। এরপর রঞ্জিত তাঁর ঘাড়ে ও চুলে হাত দিলে তিনি ঘর ছেড়ে বের হয়ে যান। যদিও রঞ্জিত শ্রীলেখার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পরই কেরালা ফিল্ম অ্যাকাডেমির পদ থেকে পদত্যাক করেছেন রঞ্জিত।