কথায় আছে, একটা সময়ের পর মেয়েরাই হয় মায়েদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। আর সেই ছবিই দেখা গেল টলিউডে। দুই শালিকের খলনায়িকা মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করতে চলেছেন নতুন জীবন। ২৪ জানুয়ারি সকালে হয়ে গেল গায়ে হলুদ। রাতেই বিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গেল, গায়ে হলুদে অভিনেত্রী বেছে নিয়েছেন লাল পাড়ের সাদা রঙের শাড়ি। চারদিকে পরিবারের মেয়ে-বান্ধবীরা তাঁকে ঘিরে রয়েছেন হলুদ শাড়িতে। চলছে উলু। বরের নামের হলুদ লেগেছে তাঁর গায়ে। হাতে শাঁখা-পলা। চুটিয়ে নাচ করছেন বলিউডি গানে। বর্তমানে তাঁকে গীতা এলএলবি ধারাবাহিকেও দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেয়ের জন্মদিনে স্বস্তিকার পোস্ট, ‘সারাজীবন এই বোচকা…’! এখন কী করছেন অন্বেষা, আসবেন অভিনয়ে?
এর আগে ডিসেম্বর মাসে পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় আংটি বদল ও রেজিস্টরি করেছিলেন অভিনেত্রী। এর আগেও ভালোবাসা এসেছিল মল্লিকার জীবনে। বিয়েও করেছিলেন। আর সেই বিয়ে থেকে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানও পান, নাম গরিমা। তবে ভেঙে যায় সেই বিয়ে। আর এবার মেয়ের উদ্যোগেই ডাক্তার পাত্রের গলায় মালা দিতে চলেছেন। রুদ্রজিৎ রায়ের সঙ্গে শুক্রবারই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন।
রুদ্রজিৎ পেশায় চিকিৎসক। সঙ্গে পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। জানা যায়, কোভিডকালে রুদ্রজিতের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তিনি তাঁর ও গরিমার চিকিৎসক ছিলেন। পরে অবশ্য একটি অনুষ্ঠানে আরও ভালো করে তাঁদের আলাপ হয়। তারপর সেই আলাপই গড়া প্রেমে। আর এখন নতুন জীবন শুরুর পালা।
আরও পড়ুন: খুড়তুতো বোনকে বিয়ে, অমত ছিল পরিবারের, এখন ডিভোর্স জল্পনা তুঙ্গে! সেহওয়াগ-পত্নী আরতির পরিচয় কী
দেখুন গায়ে হলুদের ভিডিয়ো-
ভালোবেসে একজনকে বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা। মেয়ের বয়স যখন ৯ বছর তখন পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান স্বামী। ডিভোর্স হয় তাঁদের। এরপর লম্বা স্ট্রাগল। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মেয়ের যখন ১১ বছর বয়স সেই সময় থেকেই নাকি গরিমা তার মাকে বলত নতুন করে জীবন শুরু করার কথা। বর্তমানে গরিমা ক্লাস টুয়েলভের স্টুডেন্ট। বেশি বয়সে বিয়ে করা নিয়ে কুন্ঠাবোধও ছিল মল্লিকার। তবে মেয়েই উৎসাহ নিয়ে সবটা করিয়েছে। গরিমার আনন্দ, ও মায়ের বিয়ে দেখবে! শুধু তাই নয়, মায়ের বিয়েতে নিত-কনে হবে।
এমনকী, রুদ্র অর্থাৎ মা-র হবু বরের সঙ্গেও দারুণ ভাব গরিমার। মল্লিকা জানিয়েছিলেন, ‘এখন রুদ্র আর মেয়েকে কথা বলতে দেখলে কেউ বলবে না যে ও গরিমার বাবা নয়।’