মল্লিকা শেরাওয়াত মুখ খোলা মানেই কনট্রোভার্সি। তাই তো শুধু খোলামেলা পোশাকের কারণে শুধু নয়, বিস্ফোরক কথা বলার কারণেও তাঁকে নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। এমনকী তিনি তো এটাও মেনে নিয়েছেন কাস্টিং কাউচ কীভাবে প্রভাব ফেলেছে বলিউডে তাঁর কেরিয়ারে। বলেছেন, ‘এ লিস্টার অভিনেতারা আমার সঙ্গে কাজ করতে চায়নি কারণ আমি আপস করতে চাইনি।’
মল্লিকা বিস্তারে বলেন, ‘এটা খুবই সোজা একটা হিসেব। ওরা এমন অভিনেত্রীকেই পছন্দ করে যাদেরকে ওরা কন্ট্রোল করতে পারবে, যারা নানা ধরনের সুযোগ দেবে। আমি তো ওরকম না। আমার ব্যক্তিত্বও ওরকম না। আমি নিজেকে কখনই কারও সন্তুষ্টির কারণ হতে পারব না।’
আপস করা বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন প্রশ্ন করা হলে মল্লিকা উত্তর দেন, ‘ওঠো, বসো… যা খুশি। যদি হিরো তোমায় রাত ৩টেয় ফোন করে বলে আমার বাড়ি আসো। তাহলে তোমাকে যেতেই হবে। তুমি যদি ওই হিরোর সঙ্গে ছবি করো, আর না যাও, তাহলে তোমাকে ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।’ আরও পড়ুন: ‘এরকম করলে তো…’, লাল সিং চাড্ডা বয়কট করার ডাক নিয়ে যা বললেন করিনা
মার্ডার ছবি দিয়ে দর্শকমনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন মালাইকা। তার সেই শারীরি জাদু এখনও ভুলতে পারেনি দর্শকরা। তবে কয়েকবছর পর বলিউড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। যার কারণ হিসেবে মল্লিকা শেরাওয়াত উত্তর দেন, ‘আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভালো চরিত্র খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমি কিছু ভুল করেছি, যেটা কমবেশি সবাই করে। কিছু চরিত্র খুব ভালো ছিল, কিছু খারাপ। যেটা একজন অভিনেতার সঙ্গে হয়েই থাকে। তবে যেই জার্নি আমার ছিল তা অসাধারণ।’ আরও পড়ুন: মা নার্গিস আর বাবা সুনীলের হাতে তৈরি কোন খাবারগুলো মিস করেন সঞ্জয় দত্ত?
সম্প্রতি দীপিকার ‘গেহেরাইয়া’ প্রসঙ্গে হালকা কটাক্ষ শোনা গিয়েছিল মল্লিকার গলায়। বলেছিলেন, ‘আমার মার্ডার যখন এসেছিল তখন সবাই একেবারে হায় হায় করে উঠেছিল চুমু খাওয়ার জন্য, বিকিনি পরার জন্য। দীপিকা পাড়ুকোন গেহরাইয়া-তে যা করেছে আমি ১৫ বছর আগে করেছি মার্ডারে। কিন্তু মানুষ তখন ছিল খুব সংকীর্ণ মনের। শুধু তাই নয় ইন্ডাস্ট্রি আর মিডিয়ার কিছু মানুষ আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। শুধু আমার শীরর আর গ্ল্যামার নিয়ে কথা বলেছে, অভিনয় নিয়ে নয়। আমি কিন্তু ওয়েলকাম, প্যায়ার কা সাইড এফেক্টসের মতো ছবিও করেছি। কিন্তু কেউ তা নিয়ে কথা বলে না।’