বুধবার নন্দীগ্রামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে একাধিক জায়গায় আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আপতত SSKM-চিকিত্সাধীন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।মুখ্যমন্ত্রীর বাম গোড়ালি, পায়ের পাতা, ডান হাত, কাঁধ ও ঘাড়ে আঘাত রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে, আর এর জেরেই ক্ষুদ্ধ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূলের তারকা সদস্য তথা সাংসদ নুসরত জাহান টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করে নুসরত লেখেন, ‘আমাদের প্রিয় নেত্রীর ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি’। বিরোধীদের উদ্দেশে নুসরতের কড়া বার্তা-'তোমরা দিদির ওপর আঘাত করার চেষ্টা করতে পার, কিন্তু দিদিকে টলাতে পারবে না'। সবশেষে নুসরত লেখেন-'ওঁনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি'।
অন্যদিকে মিমি লেখেন, ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন আমার রানি….গোটা বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করছে’।
পিছিয়ে থাকেননি সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া, তথা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম মুখ রাজ চক্রবর্তীও। তিনি লেখেন, 'অনেক লড়াই বাকি, তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো দিদি'।
ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা জানান, মমতার স্বাস্থ্যের প্রতি চিন্তা জাহির করে এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেন। তবে ফাইটার দিদি ফিরে আসবেন তা নিশ্চিতভাবে জানান সায়ন্তিকা। কৌশানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার বাঘিনী বলে উল্লেখ করে লেখেন, ‘সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আমাদের বাংলার বাঘিনী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উঠে দাঁড়াবেন’।
অন্যদিকে অভিনেতা সোহম, তথা চন্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী বুধবার রাতেই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। সেই ছবি পোস্ট করে টুইটারের দেওয়ালে লেখেন- ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর সুপরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত কোটনাউরী মোড় থেকে ভগবানপুর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর এই আক্রমনের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই’।
নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরবার পথে গাড়ির দরজা খোলা রাখা অবস্থায় সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ সেই সময়ই চার-পাঁচজন তাঁকে ধাক্কা মারে, এতে সপাটে গাড়ির দরজা তাঁর পায়ে লাগায় গুরুতর চোট পান তিনি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চিড় ধরেছে তাই আপাতত বিশ্রামেই থাকতে হবে তাঁকে। পায়ের ফোলা না কমা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে তাঁর ছুটি পাওয়ারও সম্ভাবনা নেই।