বৃহস্পতিবার ভোররাতে মধ্যরাতে সইফ আলি খানের বান্দ্রার বাড়িতে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েন। অভিনেতার পরিচারিকা তাকে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়তেই বেরিয়ে আসেন অভিনেতা। হাতাহাতিতে গুরুতর আহত হন তিনি। ধরাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে একাধিকবার আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে অস্ত্রোপচার। এবার এই গোটা বিষয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শাহরুখ খান এবং সলমন খানের জীবন নিয়েও।
আরও পড়ুন: চোরের মতো দেখছেন সিসিটিভি-কে! প্রকাশ্যে সইফকে আক্রমণ করা ব্যক্তির ছবি
সইফ আলি খানকে নিয়ে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সইফ আলি খান কাণ্ড নিয়ে বলেন, 'সইফ আলি খানের বিষয়ে আপনারা দেখে নিন আমি সকালেই আমার ফেসবুক এবং টুইটে যা লেখা লিখে দিয়েছি।' তিনি এদিন আরও বলেন, 'খুবই শকিং বিষয়টা। যে কালপ্রিট তাকে দ্রুত ধরা উচিত এবং কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। শর্মিলা জি তো ঠাকুর পরিবারের। শর্মিলা ঠাকুরকে আমরা খুব সম্মান করি। এমনকি ওঁর গোটা পরিবারকে। আমরা চাই ওঁরা যেন ন্যায় বিচার পান।'
শাহরুখ এবং সলমনকে নিয়ে কী বললেন মমতা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এদিন কেবল সইফ আলি খানের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সেটাই নয়, এই ঘটনার পর তিনি যে শাহরুখ খান এবং সলমন খানের জীবন নিয়ে বেশ চিন্তিত সেটাও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এমনকি শাহরুখের জীবন নিয়েও আশঙ্কা আছে। ওঁদেরও হুমকি দেওয়া হয় কখনও কখনও। সলমনকেও। সইফ যদিও সেই তালিকায় ছিল না। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি যদিও জানি না যে এর পিছনে কোনও প্ল্যান আছে কিনা, সরকারের উচিত কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার।'
কী ঘটেছে সইফ আলি খানের সঙ্গে?
এদিন তদন্তকারী এক সিনিয়র অফিসারের তরফে জানানো হয়েছে সইফ আলি খানের বাড়ির এক পরিচারিকা এলিমা ফিলিপস ওরফে লিমা সেই মুহূর্তে বাড়িতে ছিলেন। তিনিই প্রথম অভিযুক্ত তথা আততায়ীকে দেখতে পান যখন সে ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তিনি তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় সেই ব্যক্তির। আর ঘটনাচক্রে তিনি হাতে আঘাত পান। তাঁর চিৎকার, চেঁচামেচি শুনেই নাকি তখন সেখানে দৌড়ে আসেন সইফ আলি খান। এরপরই সইফ আলি খানের সঙ্গে সেই ব্যক্তির হাতাহাতি শুরু হয়। সেই ব্যক্তির হাতে ধারাল কিছু অস্ত্র ছিল। সেটা দিয়েই তিনি অভিনেতার উপর আক্রমণ চালান, এরপর রক্তাক্ত অভিনেতাকে মধ্যরাতে তড়িঘড়ি করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান অটোয় করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এই দুর্ঘটনার পর।