বর্তমান সময়ে আলাদা করে পুজোর অ্যালবাম খুব একটা বের হয় না। তবে নব্বইয়ের দশকে কিন্তু আবার ছিল এই পুজোর গানের রমরমা বাজার। তবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে প্রতি বছর পুজো উপহার হিসেবে গান আসে বাজারে। প্রতি বছরের মতো এবারেও মমতার লেখা ও সুর করা এবং গাওয়া ৮টি গান আসছে। যার মধ্যে ৬টি গানের রেকর্ড করা আগেই হয়ে গিয়েছে। বাকি দুটি গান খুব সম্ভবত মাননীয়া রেকর্ড করবেন স্পেন সফর থেকে ফিরে।
জানা যাচ্ছে, ৬টি গানের মধ্যে একটির নাম ‘শুভ জন্মদিন’। স্কটল্যান্ড সফরের সময় প্রাক্তন মুখ্যসচীব মলয় দে-র জন্মদিনে লিখে সুর দিয়েছিলেন মমতা। দল তৃণমূলের আশা, এবার থেকে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’-র বদলে এই গানই বাজবে বাংলার ঘরে ঘরে।
সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে একান্ত আলাপচারিতার সময় মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, একদিন চন্দননগর যাওয়ার সময় আচমকাই তাঁর কাছে মমতার ফোন আসে। ভদ্রেশ্বরে থামিয়ে দেন নিজের কনভয়। সকলকে নামিয়ে দেন গাড়ি থেকে। এরপর গাড়িতে বসেই দিদির সুর দেওয়া ও লেখা সেই গান রেকর্ড করেন। তারপর তা পাঠিয়ে দেন স্টুডিয়োতে। সেখান থেকে ফাইনাল হয়ে এলে স্কটল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন দিদির কাছে। আপাতত ঠিক আছে, মহালয়ার দিনই প্রকাশিত হবে মমতার গানগুলি। আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ জুজুর ভয়ে তারা সিং! কমল সানির ‘গদর ২’-এর আয়, ২৮ দিনে কত ঘরে তুলল?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার জনপ্রিয় দুটি ধারাবাহিক গুড্ডি ও জগদ্ধাত্রীতে গান লেখা ও সুর দেওয়া সবই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সেই শিল্পীসত্ত্বাকে স্বীকৃতি দিতেই এই বছরের টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে সেরা গীতিকার ও সুরকার হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা হয়। যদিও পুরস্কার নিতে চাননি তিনি। মঞ্চে ছিলেন তিনি সকলের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দিতে। সেই সময় নাম ঘোষণা হতেই হাত নেড়ে সোজা নেমে যান স্টেজ থেকে। আরও পড়ুন: একসময় খেয়েছিলেন চুমু! রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিচ্ছেদ জোড়া লাগায় মুখ খুললেন রুকমা
শুধু গান নয়, মমতার কবিতা লেখা ও ছবি আঁকাতেও রয়েছে যথেষ্ট নামডাক। যদিও এই কারণে কম ট্রোল হতে হয় না বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে বাংলার দিদি বরাবরই সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে নিজের মর্জিতে চলতে পছন্দ করেন। এখন দেখার মমতার গাওয়া পুজোর গান প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাজলে কেমন প্রতিক্রিয়া আসে।