মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন মমতা কুলকার্নি। এখানেই শেষ নয়, কিন্নর আখড়ার মহামন্ডলেশ্বর নির্বাচিত করা হয় তাঁকে। আর তাতেই রীতিমতো বিপর্যস্ত তাঁর জীবন। মাত্র ৫ দিনেই মহামন্ডলেশ্বর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আর এরপর থেকেই যেন বলিউডের একসময়ের সেনসেশন, এই অভিনেত্রীর জীবন নিয়ে উঠে আসছে সব বিতর্কিত অধ্যায়। যার মধ্যে আছে এই হরিণের মাংস খাওয়ার ঘটনাটিও।
সম্প্রতি মমতা কুলাকার্নি এসেছিলেন আপ কি আদালত শো-তে। তখন এই ঘটনায় আলোকপাত করতে দেখা যায় তাঁকে। যেখানে মমতা ঝামেলায় জড়ান ইন্ডাস্ট্রি জুনিয়র আমিশা পাটেলের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ‘আমি যদি কখনো…’! কপিল শর্মা কি সত্যিই অহংকারী? জবাব বহু দিনের সাথী রাজীব ঠাকুরের
হরিণের মাংস খাওয়া নিয়ে ঝামেলা:
সাল উল্লেখ না করেই মমতা জানান, চার দিনের বিজ্ঞাপন শ্যুটিংয়ে ছিলেন। আর সেখানে রাতে ডিনারে শুধু আমিষ খাবারই দেওয়া হত। আর গোটা দল একসঙ্গেই খাবার খেতেন। সেখানে নিত্যদিনই মমতা দেখতেন যে, মাংস বড্ড ছিবড়ে। আর তা নিয়ে অভিযোগ কেরন প্রযোজকের কাছে।
আর তাঁর কাছ থেকে ‘ছিবড়ে মাংস’-র কথা শুনে মিস্টার বাজাজ নামে সেই প্রযোজক জানিয়েছিলেন যে, এটা যেহেতু হরিণের মাংস, তাই এরকম খেতে। এরপর আপ কি আদালতে মমতা কুলকার্নি জানান যে, তিনি রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন এই হরিণের মাংস খাওয়ার ব্যাপারটায়।
‘আদমি চিকেন খাতা হ্যায়, মাটন খাতা হ্যায়, হরিণের মাংস কৌন খাতা হ্যায়? (মানুষ চিকেন-মটন খায়, হরিণের মাংস কে খায়?)’, বলেছিলেন মমতা। সঙ্গে তিনি মিস্টার বাজাজকে একটি লেভেল লাগিয়েও দিতে বলেছিলেন, কী মাংস জানিয়ে।
মমতার দাবি, সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আমিশা পাটেল। যাকে চিনতেনই না মমতা কুলকার্নি। এরপর নাকি আমিশা পাটেলই কটাক্ষ করে মমতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘উফফফ তোমরা সেলেব্রিটিরা এত প্রাইসি! এখন হরিণের মাংস নিয়ে ইস্যু তৈরি করছ।’ এরপর করণ অর্জুন অভিনেত্রী জানান, তিনি ঘুরিয়ে জবাব দেননি আমিশাকে। বরং, অবজ্ঞা করেই চলে গিয়েছিলেন।
'তেরি অওকাত কেয়া হ্যায়?'
যদিও শোয়ের উপস্থাপক রজত শর্মা মমতা কুলকার্নির কাছে জানতে চান, ‘তেরি অওকাত কেয়া হ্যায় (কী মনে করো তুমি নিজেকে)’ বলেছিলেন নাকি? এমনকী, ‘আমার পারিশ্রমিক ১৫ লাখ, আর তোমার ১’ বলে খোঁচাও দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। যদিও মতা এই বক্তব্য করেছিলেন তা মানতে চাননি আপ কি আদালতে।
উপস্থাপক রজত শর্মা মমতা কুলকার্নিকে "তেরি আউকাত কেয়া হ্যায়? (তুমি নিজেকে কে মনে করো?) বলার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। আমার পারিশ্রমিক ১৫ লক্ষ টাকা , আর তোমার পারিশ্রমিক ১ লক্ষ টাকা ।" তবে মমতা নিজে এই বক্তব্য দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।